ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার স্বাদ নিতে চায় বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার স্বাদ নিতে চায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক : এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে সুপার ফোরে পাকিস্তানকে টাইগাররা হারাতে পারবে কি না তা নিয়ে হ্যাঁ-না ছিল। শেষ পর্যন্ত কোনও অঘটনই ঘটতে দেননি টাইগাররা। কারণ মুশফিক-লিটনের অনবদ্য জুটি ও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। আর বাংলাদেশ পায় ৩৭ রানের জয়। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশ।

এদিকে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের প্রতি পাকিস্তানি এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা বিশেষ কিছু কিনা? ওই সাংবাদিকের মুখের ওপর বাউন্সার উত্তর দেন তিনিও। মুশফিক বলেন, এটা আর দশটা ম্যাচের মতোই শুধু একটা ম্যাচ। বিশেষ কিছু নয়।

মুশফিকের বলেন, টুর্নামেন্টে এখনো নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠলে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভালো সুযোগ দেখছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা পারব। আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। আমরা এখনো নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি। এখনো তিন বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে ওঠেনি। টপ অর্ডার ভালো করছে না। এগুলো সব যদি ভারতের বিপক্ষে জ্বলে উঠে, তাহলে না পারার কারণ নেই। ভারত অবশ্যই অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু ওরাও মানুষ, ওরা ভুল করবে। যদি আগে ব্যাট করি এবং বড় স্কোর গড়তে পারি, শুরুতে ওদের চাপে রাখতে পারলে কিংবা রান তাড়া করলে ভালো শুরু পেলে না পারার কারণ নেই। ভারতের বিপক্ষে আমরা সেটিই করতে চাই।’

এশিয়া কাপের গত আসরগুলোতে ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ান হওয়ার স্বাদ নিতে পারেনি কোনও বারই। তার পরও এই টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্নটা ধারণ করেই এগুচ্ছেন মুশফিক। তিনি বলছেন, ‘মানুষ স্বপ্ন ও আশা নিয়েই বাঁচে এবং আমাদের স্বপ্নটাও আছে। এশিয়া কাপের আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল যে অন্তত ফাইনাল যেন খেলতে পারি। তার পর ফাইনালে উঠতে পারলে দেখা যাবে, সেরা ক্রিকেট খেললে অবশ্যই পারব। এখন এত কষ্ট করে এত দূর এসেছি, অবশ্যই আমাদের সুযোগ আছে খুব ভালো খেললে ভারতকে হারানোর। আগেও আমরা ওদেরকে হারিয়েছি। এটা ঠিক আমরা ওদের বিপক্ষে ধারাবাহিক ভাবে হয়ত ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ওরা বিশ্বের সেরা দুটি দলের একটি। আমরা নিজেদের সেরাটা খেললে ওদের চাপে রাখা সম্ভব এবং জেতা সম্ভব।’

এ সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ক্যারিয়ারের সপ্তম ও এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘সত্যি বলতে, জেতার পর থেকেই দুঃখ আর পাচ্ছি না। আমরা কতটা জানেন জানি না, দলই আমার কাছে সবার আগে। আমি যদি সেঞ্চুরি করতাম, দল ২৬০ করে হেরে যেত, ভালো লাগাটা আমার কখনোই আসত না। এটা মুখের কথা নয়, আমার মনের কথা। আমি সবসময়ই এটা অনুভব করি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *