পাথেয় রিপোর্ট : মাওলানা সাদ কান্ধলবী বিরোধী আন্দোলনে অনেক দূর থেকে অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়ার সহসভাপতি ও রাজধানীর জামিআ আজমিয়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম রামপুরার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ। তিনি বলেন, যারা অর্থের বিনোয়োগ করেছেন তাদেরকে হয়তো অনেক মুখলিসীন মুরুব্বীরা চেননও না, তাদের সম্পর্কে জানেনও না। আমি মনে করি, এসব অপতৎপরতায় তাবলীগের [মেহনতের] ক্ষতিই হয়েছে। লাভ কিছুই হয়নি।
তাবলীগ জামায়াতের মারকায দখলে নেয়ার বিষয়টি ঘৃণ্য উল্লেখ করে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, মারকায পৃথকিকরণের দ্বারা নতুন সংকটের সূচনা হবে। সমাধান হবে না। মারকায আলাদা করার চিন্তা ভালো নয়।
৮ জুলাই ২০১৮ রোববার মধ্যরাতে ইউটিউভ চ্যানেল ইকরা মাল্টিমিডিয়ায় প্রচারিত এক বক্তব্যে দারুল উলূম রামপুরার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এসব কথা বলেন।
সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে মাওলানা মাহমুদ বলেন, তাবলীগের পাঁচকাজ [১. দাওয়াত : আড়াই ঘণ্টার মেহনত ২. তালীম ৩. মাশওয়ারা ৪. গাশত ৫. তিন দিনের জন্য জামায়াতে বের হওয়া] আম-আলেম সবাই ছয় উসূল অনুযায়ী করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। এতেই সমাধান নিহিত আছে।
মাওলানা সাদ ইসুকে কেন্দ্র করে কাকরাইল দখল করা, মাঠ গরম করা, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বাইরে নিয়ে আসার দ্বারা নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ে। ইতিবাচক কাজ করা উচিত
মাওলানা সাদ কান্ধলবীর সঙ্গে উলামায়ে কেরামের মতবিরোধ একান্তই ঘরোয়া দাবি করে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, মাওলানা সাদ ইসুকে কেন্দ্র করে কাকরাইল দখল করা, মাঠ গরম করা, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বাইরে নিয়ে আসার দ্বারা নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ে। ইতিবাচক কাজ করা উচিত। এতে করে বেদাতী, মাযারী, ভাণ্ডারী, জামায়াতী, শিয়াসহ আহলে সুন্নাত আল জামায়াত বিরোধী সব অপশক্তি খুশি হচ্ছে।
মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বিষয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের সংযুক্ত করার কড়া সমালোচনা করে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, মাওলানা সাদ বিষয়ক সমস্যার সমাধান তো আলেমগণ করবেন। শিক্ষার্থীরা এসবে নাক গলাবে কেন? এটা আওয়ামের কাজ নয়।
গ্রন্থনা : মাসউদুল কাদির
প্রয়োজনীয় সব ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইভ করে সঙ্গে থাকুন
https://www.youtube.com/channel/UCYsRfRxI223JblZD5ICOIWg