যুদ্ধের মাঝে ইরানকে ক্ষুব্ধ করতে চায় না পশ্চিমারা

যুদ্ধের মাঝে ইরানকে ক্ষুব্ধ করতে চায় না পশ্চিমারা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিধায় পড়েছে। তারা চাচ্ছে না গাজার যুদ্ধ চলা অবস্থায় ইরান এই বিষয়েও ক্ষুব্ধ হোক। অবশ্য, সহযোগিতার অভাবের জন্য দায়ী করে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সভায় তেহরানের নিন্দা করেছে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।

কূটনীতিকরা বলছেন, পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়িয়েছে ইরান। একই সঙ্গে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতাও কমিয়েছ। এসব কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার ভয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর হতে চাচ্ছে না পশ্চিমা শক্তিগুলো।

 

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণের পর থেকে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের উদ্বেগ তীব্র হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনয়ার ভিয়েনায় আইএইএর বোর্ড অব গভর্নরস সভায় ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য তেহরানের নিন্দা করে। ইরানের পদক্ষেপ সীমা ছাড়িয়েছে– এমনটা বললেও বাধ্যতামূলক রেজল্যুশন জমা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে দেশগুলো।

 

এক সিনিয়র কূটনীতিক বর্তমান অচলাবস্থার বিষয়ে বলেন, দৃশ্য বেশ অন্ধকার। কিন্তু এই মুহূর্তে বাস্তবতা হলো– মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মধ্যে ইরানে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হোক, এটার প্রয়োজন নেই।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধ করার বিষয়ে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানির মধ্যে চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান এবং ফের তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই ঘটনার পর পারমাণবিক কার্যক্রম জোরদার করে প্রতিশোধ নিয়েছে ইরান।

 

গত সপ্তাহের আইএইএর গোপন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইরানের কাছে এখন পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম আছে, এটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে তা তিনটি বোমা তৈরির পরিমাণের চেয়ে কম। কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, অন্য কোনো কিছুর জন্য ব্যবহার না করা হলে এই পরিমাণ ইউরেনিয়ামই যথেষ্ট।

যুদ্ধ ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের গবেষক হেলোইস ফায়েত বলেছেন, পশ্চিমা নেতারা যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছেন। আমরা জানি না, হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠ তেহরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *