যেভাবে কানাডায় বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা

যেভাবে কানাডায় বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কানাডায় ইসলাম ধর্ম সবচেয় দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করছে বলে একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়। ১৯৯৬ সালের পর থেকে মুসলিমদের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডার একটি পরিসংখ্যান।

দ্য ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডায় দীর্ঘ সময়ে উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় পরিবর্তন হয়েছে। সমাজে এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। ধর্মীয় পরিবর্তনগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে আধুনিক সমাজের পরিবর্তনগুলো ভালোভাবে বোঝা যায়।’

স্ট্যাটিস্টিক্স কানাডার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনসংখ্যার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও গর্ভধারনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জনসংখ্যার কারণগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।’

কানাডার মোটজনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মনে করেন তারা কম হলেও যেকোনো ভাবে ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত। শতকরা ২৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিয়মিত গির্জা, মন্দির বা মসজিদে যাতায়াত করেন। মাত্র ১৬ শতাংশ সাপ্তাহিক ধর্মীয় গোষ্ঠীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। আর ২৩ শতাংশ প্রতি মাসে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক কয়েক দশকে দেখা গেছে, ধর্মীয় সম্পৃক্ততা, গোষ্ঠী বা ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মানুষের জীবনযাপনে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের গুরুত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ২৫ বছরে কানাডার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর সামষ্টিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, মুসলিম জনসংখ্যা শতকরা ১ দশমিক ১ থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ৭ হয়। ইহুদি জনসংখ্যা শতকরা ১ দশমিক ১ থেকে কমে ১ হয়। শিখ জনসংখ্যা শূণ্য দশমিক ৭ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ৪ হয়। হিন্দু জনসংখ্যা শূণ্য দশমিক ৫ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৭ হয়।

১৯৮৫ সালের শেষ দিকে কানাডায় অত্যন্ত কম মুসলিম বসবাস করত। এমনকি একটি ফেডারেল জরিপে এ ধর্মকে ‌‘অন্যান্য’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। যুদ্ধোত্তর মুসলিমদের জনসংখ্যা এতই কম ছিল যে ১৯৪৪ সালের আদমশুমারির প্রশ্নাবলী থেকে ‘মুসলিম’ মুছে দেওয়া হয়। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার আগে সেই সময় পরিসংখ্যান ও জরিপের কাজ করত ডোমিনিয়ন ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস নামের একটি সংস্থা।

সূত্র : দ্য ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *