যে দু’আ বাঁচায় পথভ্রষ্টতা থেকে

যে দু’আ বাঁচায় পথভ্রষ্টতা থেকে

এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস, আওলাদে রাসূল, সায়্যিদ মুফতি মুহাম্মাদ সালমান মানসুরপুরী। দেশের বিভিন্ন মাদরাসা ও ইলমী মারকাযগুলো দৃপ্ত এই হচ্ছে নবী দৌহিত্রের পদচারণায়। উদ্দীপ্ত হচ্ছে তাঁর ইলমী ও ইসলাহী বয়ানে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর চৌধুরীপাড়া মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘কুর‘আনী দু’আর শক্তি’ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বয়ান রাখেন। বয়ানের চুম্বকাংশ পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো—

হযরত বলেন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা কুরআনুল কারীমে যে সমস্ত দু’আবাক্য উল্লেখ করেছেন সেগুলো আমাদের তরবিয়তের জন্যই নাযিল করেছেন। আর এটা আল্লাহ তা‘আলার মেহেরবানি যে, তিনি আমাদেরকে বলেও দিয়েছেন যে, কোন ভাব ও ভঙ্গিতে তাঁর কাছে চাইতে হবে।
কুরআনে উল্লেখিত এ সমস্ত দু’আগুলো অনেক ওলামায়ে কেরাম একত্রিত করে সেগুলোকে বই আকারে প্রকাশও করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য , মুনাজাতে মকবুল, হিসবুল আজম, হিসনুল হাসীন।

আমি শিক্ষার্থীদের বলবো— তারা যেন সময় করে গুরুত্বের সাথে এই দু’আগুলো নিয়মত পাঠ করেন।

শাইখুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. সূরা আলে ইমরানের ৮ নাম্বার আয়াতে উল্লেখিত দু’আটা নিয়মিত পড়তেন। এই দোয়ার বৈশিষ্ট ও শ্রেষ্ঠত্ব হলো যে, এই দু’আ আমাদের বলতে শেখায়—
“হে আল্লাহ! হেদায়েতের পর আপনি আমাদের অন্তরে স্থৈর্য দিন। তাকে পথভ্রষ্ট হতে দিয়েন না। আমরা মৃত্যু অবধি এরই উপর স্থির থাকতে চাই। আমাদের অন্তরে যেন গোমরাহী স্থান না পায়”।

এজন্য আমাদের এসব কোরআনী দু’আ নিজেদের আমলের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এবং দু’আগুলোর যে উদ্দেশ্য সেটা আমাদের জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে।

একজন বান্দার উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত এটাই যে , বান্দা মৃত্যু অবধি সীরাতে মুস্তাকীমের পথে অটল থাকতে পারে। এরচেয়ে বড় রহমতের বিষয় আর কিছুই নেই। আর আমাদের আকাবীরে আসলাফগণ এ পথেই চলে এসেছেন। আর আমাদের জন্য এ পথে চলাই সহজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *