পাথেয় টোয়েন্টিফোরডটকম : সমকামিতা বিষয়ে ৩৭৭ ধারা আইনে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সেক্রেটারি ও মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি। তিনি বলেন, সমকামিতা প্রকৃতি ও স্বভাব বিরোধী। আর প্রকৃতি ও স্বভাবতার বিরুদ্ধাচরণ মানবসমাজের জন্য অকল্যাণকরই হয়। এমনি ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল সাইন্সও এ ব্যাপারে একই কথা বলে যে, সমকামিতা এইডসের মতো ভয়ঙ্কর রোগের প্রধাণ ও বড়ো কারণ। এছাড়াও আরো নানান রোগব্যাধি এই সমকামিতার কারণেই সংক্রামক হয়। চারিত্রিক অবক্ষয়েও এর প্রভাব খুবই ভয়াবহ। এমনকি পাশ্চাত্যের মতোই ভেঙে পড়বে বিবাহ বন্ধনে প্রভাব পড়বে। মোটকথা এই সমকামিতা সামগ্রিকভাবেই পুরো সামাজিক সিস্টেমের জন্যই হুমকিজনক।
বিশেষত মেয়েদের জন্য এটি একটি বড়ো সমস্যা। অনেক আগ থেকেই ভারতে অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় সমকামিতার এ আইন অনুমোদন এক শ্রেণির মেয়েকে সারাজীবন সংসার ও সুন্দর জীবনযাপন করা থেকে বিরত রেখে অবৈধ পন্থায় আনন্দ লাভকেই যথেষ্ট বলে জানাবে।
এছাড়াও আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন মতাদর্শের লোকেরাই বসবাস। আর প্রত্যেক ধর্মের অধিকাংশ লোকই ধর্মে বিশ্বাসী । আর সমকামিতার মতো স্বভাববিরুদ্ধ কাজকে প্রত্যেক ধর্মের লোকেরাই নিতান্ত খারাপ জানে। মানুষ এটিকে গর্হিত কাজ মনে করে। তাই সমকামিতায় বিশ্বাসী গুটিকতক মানুষের চাওয়াকে সামগ্রিকভাবে ঘৃণিত মনে করা সবার বিরুদ্ধে গিয়ে বৈধতা দেয়া যৌক্তিক নয়। অল্পকিছু মানুষের ইচ্ছাধীন বিষয়ের উপর এমন ফায়সালা রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষের বিরুদ্ধে যায়। তাই পার্লামেন্টের উচিৎ হবে সমকামিতা আইনের এ রায়কে উঠিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রকে সুশৃঙ্খল ও সুন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া।
অনুবাদ ও গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
তথ্যসূত্র : ডেইলি হামারা সামাজ, দিল্লী
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির