পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত (তিন দিনে) ২৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই মারা গেছেন মঙ্গলবার। কেউ কেউ মারা গেছেন চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এর আগে কোটা আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে গত ২৩ দিনে মারা গেছেন ৫৬০ জন।
সোমবার সংঘাতে মারা যাওয়া ১০ জনের লাশ আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য। এরপর মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে বন্দীরা পালানোর সময় কারারক্ষীদের গুলিতে মারা যান ছয়জন। বুধবার ঢাকার সাভারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও তিনজন।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাড়িতে হামলার সময় সংঘর্ষে মারা যান একজন। আহত হন আরও সাতজন। নিহত নাহারুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বুধবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেফায়েত উল্লাহ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।