সাদ-রুবেলের প্রশংসায় আবাহনীর কোচ মামিচ

সাদ-রুবেলের প্রশংসায় আবাহনীর কোচ মামিচ

স্পোর্টস ডেস্ক ● ম্যাচ শেষে কে একজন বললেন ‘আবাহনী বড় মাছটিই শিকার করেছে।’ সত্যি তাই। বেঙ্গালুরু এএফসি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্লাব হিসেবে খেলেছে গত এএফসি কাপের ফাইনালে। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ইতিহাস তারা ঠিকই গড়েছে। ঢাকায় এসে বেঙ্গালুরু এফসির স্প্যানিশ কোচ আলবার্তো রোকা পিউল বলেছিলেন, তারা ঢাকা থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চান। তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা তাদের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ নিশ্চিত হবে। কিন্তু ঢাকায় এসে অন্যরকম আবাহনীকেই দেখলেন এ স্প্যানিশ কোচ। প্রথম লেগে আবাহনীকে ২-০ গোলে হারানো ভারতের জায়ান্টদের ফিরতি ম্যাচে হারতে হলো ঠিক ওই ব্যবধানেই।

লি টাক নেই, নেই সানডে। এমন কি জুয়েল, হেমন্তসহ আরো জনা দশেক ফুটবলার এবার আবাহনী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য ক্লাবে। ভাঙ্গাচোরা দল নিয়ে এএফসি কাপে হাবুডুবুই খাচ্ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কূল হারানো সেই আবাহনীই হঠাৎ জ্বলে উঠলো। গ্রুপের শীর্ষ দল বেঙ্গালুরুকে হারিয়েই তারা খুললো জয়ের খাত। ম্যাচের পর দুই গোলদাতা সাদ উদ্দিন ও রুবেল মিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন আবাহনীর ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচ।

ম্যাচের পর আবাহনীর কোচ বলেন, ‘আমরা খুব শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছি। শেষ কয়েক মিনিট ওরা অনেক চাপে রেখেছিল আমাদের। ম্যাচে ওদের কিভাবে সামলাব তা নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। বলেছিলাম যে আগের ম্যাচগুলোতে যে ভুলগুলো করেছো তা এবার করা যাবে না। ওরা কথা রেখেছে। এ ম্যাচে চমৎকার গোল দিয়েছি। আমি ভীষণ খুশি। ছেলেদের যেভাবে খেলতে বলেছিলাম, সেভাবেই খেলেছে। সাদ আর রুবেল দারুণ খেলেছে এ ম্যাচে।’

নাসির উদ্দিনকে দেয়া লাল কার্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি আবাহনী কোচ, ‘লাল কার্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ম্যাচের পর নাসির বলেছে সে কোনো ভুল করেনি। ফুটবলে এমন কিছু ঘটতেই পারে। তিন ম্যাচ হারার পর একটা শক্তিশালী দলকে হারাতে পেরেছি। দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ছেলেদের বলেছিলাম তোমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা অপেক্ষা করছিলাম সুযোগের। সে সুযোগ পেয়েছি, কাজেও লাগিয়েছি। আমি খুশি।’

মামিচ বলেছেন, ‘তিনজন নতুন ফুটবলার খেলেছেন এ ম্যাচে সামাদ, রুবেল ও ইমন বাবু। ওরাই ম্যাচের চিত্র বদলে দিয়েছে। আমরা উন্নতি করছি আগের চেয়ে। ইমন ১০ দিনের ট্রেনিং করে মাঠে নেমেছে। ও চোটে ছিল। বেশি রানিং করেনি গত দুই মাস। কিন্তু আমি ও কোচ সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ও খেলবে একাদশে। ও ভালো খেলেছে।’

ম্যাচের পর সাদ উদ্দিন বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৬ এর পর আবারও আন্তর্জাতিক গোল পেলাম। খুব ভালো লাগছে। আমার ক্যারিয়ারে স্মরণীয়। শেষ বছর আবাহনীতে ছিলাম। খেলতে পারিনি। আমরা এই ম্যাচের জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *