সুন্দরবনে মৃত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১১৬

সুন্দরবনে মৃত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১১৬

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬টিতে। শুক্রবারও (৩১ মে) বন থেকে ১১টি হরিণ, চারটি বন্য শুকর এবং একটি অজগরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।

বনের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলার চর, নারিকেল বাড়িয়া ও নীলকমল থেকে এই প্রাণীগুলোর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১৮টি হরিণ অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বনে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে তল্লাশি চালিয়ে তারা প্রতিদিন মৃত অবস্থায় হরিণ উদ্ধার করছেন। শুক্রবারও বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হরিণের দেহ অনেকাংশে পচে গেছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১১১টি মৃত হরিণ, চারটি বন্য শূকর এবং একটি অজগর উদ্ধার করেছেন।

তিনি আরও জানান, এখনও বনের মধ্যে বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। দুয়েকদিনের মধ্যে তল্লাশি শেষ করা হবে। এরপর বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম।

এদিকে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করছেন। তবে সুন্দরবন বন বিভাগ এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি যে, রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “রিমালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানি বনের মধ্যে আটকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বনের কোথাও আর কোনো বন্যপ্রাণী মরে পড়ে আছে কি-না তা ঘুরে ঘুরে দেখছে বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।”

Related Articles