পাথেয় রিপোর্ট : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিসহ মোট সাতজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (০৬ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আটজনের মধ্যে সাতজনকে আদালতে সোপর্দ করে সাতদিন করে রিমান্ড চাইলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নম্বর আমলি আদালতে (চরজব্বার) ওই সাতজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চরজব্বর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম জানান, রোববার সকালে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাদশা আলম বাসু, মো. সোহেল, মো. স্বপন, ইব্রাহিম খলিল বেচু, ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন, জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হাসান আলী ভুলু ও জসিম উদ্দিনকে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আমলি আদালতে (চরজব্বার) সোপর্দ করা হয়। এসময় তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামি হলেন মূলহোতা রুহুল আমিন, আসামি সালাউদ্দিন (৩৫), জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০), সোহেল (৩৫), স্বপন (৩৫), বাদশা আলম বাসু (৪০) ও ইব্রাহিম খলিল বেছু।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে চর বাগ্গা গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।