‘হযরত হোসাইনের শাহাদত মুসলিম বিশ্বের হৃদয়বিদারক ঘটনা’

‘হযরত হোসাইনের শাহাদত মুসলিম বিশ্বের হৃদয়বিদারক ঘটনা’

পাথেয়টোয়েন্টি ফোরডটকম (মোরাদাবাদ) : কারবালার মায়দানে হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর শাহাদাত নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ মারকাজ মসজিদের খতীব মুফতি যাইম আহমদ কাসিমী। তিনি বলেন, যারা হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে শহীদ করেছিল তারা মুনাফিক ও ইহুদী ছিল। আর নবী পরিবারের কোন সদস্যকে ঘৃণা করা ও গালি দেয়া মুনাফেকির সুস্পষ্ট লক্ষণ।

যাইম কাসিমী বলেন, ১০ মহররম বা আশুরার দিন ইসলামে বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অফুরন্ত বরকত ও ফজিলতের মাস মহররমে নবী-রাসুল ঈমানের কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে মুক্তি ও নিস্কৃতি পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, মহররমের ১০ তারিখ আশুরার সঙ্গে পুরো মাসের গুরুত্ব মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের শুরুতে মহররম মাস আশহুরুল হারামের অন্তরভুক্ত ছিল। মহররম মাস আল্লাহ তাআলার নিকট অনেক সম্মানিত ও মর্যাদার মাস।

১৫ আগস্ট ২০১৮ শনিবার ভারতে জনপ্রিয় ডেইলি পত্রিকা হামারা সমাজের প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, শাইখুল হাদীস মুফতি যাইম কাসিমী মারকাজ মসজিদের শুক্রবার জুমার আগের বয়ানে এসব কথা বলেন।

মুফতি যাইম কাসিমী বলেন, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মহররমের রোজা ফরজ হিসাবে গণ্য করা হত। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর মহররম মাসের রোজা আল্লাহতায়ালার কাছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার নিকট প্রতিটি মুসলমানের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া হলো তিনি যেন মুসলিম উম্মাহকে বছরজুড়ে রহমত বরকত ও কল্যাণ দ্বারা ঢেকে দেন।

অনুবাদ ও গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সূত্র : ডেইলি হামারা সমাজ, দিল্লি
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *