পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : (কানপুর ) ভূপৃষ্ঠে সমস্ত প্রাণী বিশেষ করে মানব জীবনের সীমাবদ্ধতা যেসব জিনিসের উপর সেখানে মলিনতা, অপরিচ্ছন্নতা থেকে পবিত্রতা একটি আলাদা বিষয়। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে আধুনিকতার এ পরিবর্তন যা মানুষকে বস্তুত মানব জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অক্ষম করে দিয়েছে। যান্ত্রিকতার এই অবাধ পরিবর্তনে পরিবেশকেও মলিন করে দেবার মতো যথেষ্ট উপকরণ তৈরী হচ্ছে।
ফ্যাক্টরী ও বড় বড় কারখানাগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ূ দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। বড় শহরগুলোতে সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়, তাই দূষিত বায়ূই চারপাশের মানুষকে আক্রান্ত করে। এ পরিবেশ ঠিক রাখা তো সারা পৃথিবীতেই এখন একটা চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালো ও সুন্দর জীবন যাপনের ধারাকে অব্যাহত রাখার সাথে সাথে ক্রমশ চারপাশেের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ সারা বিশ্বেই এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে।
কেয়ামত পর্যন্ত মানব জীবনের পথপ্রদর্শক দ্বীন ইসলাম৷ যেখানে বর্তমান ও ভবিষ্যতে আহুত সমস্যার সমাধান বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে তার শিক্ষাতেও এই পরিবেশন দূষণ কঠিন বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ভারতের রিজভী রোডে জমিয়ত বিল্ডিংয়ে একটি কনফারেন্সে জমিয়ত উত্তর প্রদেশ
সভাপতি মাওলানা মতিনুল হক উসামা বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং মানুষকে ভালোভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে অন্যতম একটি বিষয় হলো গাছপালা এবং গাছপালা ভরা জঙ্গল।
কুরআনে কারীম গাছপালা এবং উদ্ভিদকে আল্লাহ তায়ালা তার রহমত বলে উল্লেখ করেছেন। গাছপালা এবং উদ্ভিদ থেকে ফল ও শষ্যের যোগান হয়৷ তীব্র রোদে গাছ পথিককে আরামের ছায়া দেয়। ঠিক তেমনি গাছপালাভরা বন জঙ্গল এবং মানুষের বসবাসের জায়গায় যেসব গাছপালা থাকে তা চারাপাশের পরিবেশকে শ্যামল স্বচ্ছ পরিস্কার ও বিশুদ্ধ করে রাখে৷ একারণেই ইসলামে একদিকে গাছ কাটতে মানা করেছে এবং অন্যদিকে গাছে রোপণে উৎসাহিত করেছে।
মাওলানা উসামা বৃক্ষের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, গাছপালা ও ছোটছোট তরু উদ্ভিদ আসমান থেকে বৃষ্টি আসার একটি কারণ হয়ে থাকে। গাছের সাথে পুরো সৃষ্টির আলাদা একটি কুদরতি সম্পর্ক জড়িয়ক আছে৷ গাছ প্রতিটি প্রাণকে অক্সিজেন দেয়। গাছের সাথে বাতাসের ভারসাম্যতা রক্ষা হয়। গাছপালা অপরিচ্ছন্নতা ও মলিনতার সমস্ত কিছু নিজের ভেতর নিয়ে পরিবেশ দূষণ রক্ষা করতে সাহায্য করে।
মাওলানা উসামা কাসেমী বলেন, ইসলামী শিক্ষাকে সামনে রেখে প্রতিটা গাছ ও উদ্ভিদকে রক্ষা এবং বেশীবেশী বৃক্ষ রোপণ করে মানুষকে স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে আগামী ২৬ জনুয়ারি জমিয়ত উত্তর প্রদেশ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো জেলা শহর,থানা ও বিভিন্ন এলাকায় ১৫লাখ গাছ লাগানোর টার্গেট করেছে।
এসময় মাওলানা উসামা আরো বলেন, শুধু গাছ লাগানাোই দায়িত্বে শেষ নয় বরং এগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণই মূল কথা। প্রধান দায়িত্ব। সবাই যদি এটিকে দায়িত্ব মনে না জরে তাহলে এই ছোট ছোট গাছগুলোকে রক্ষা সম্ভব নয়৷ এসময় তিনি জমিয়তের প্রতিটি জেলা থানা ও ইউনিটের যিম্মাদার ও প্রতিটা এলাকার জনসাধারণকে এসব গাছ রক্ষার দায়িত্বশীল হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
অনুবাদ ও গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
তথ্যসূত্র : ডেইলি আগ-উর্দূ