হরিয়ানায় মসজিদ বানিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়িবা

হরিয়ানায় মসজিদ বানিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়িবা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : লস্কর-ই-তাইয়িবা দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অন্যতম বৃহত্তম সন্ত্রাসী দল। ১৯৯০ সালে হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ, আবদুল্লাহ ইউসুফ আজম ও জাফর ইকবাল আফগানিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের নিকটে মুরিদকে নামক জায়গায় এর সদর অবস্থিত। এই দলটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিভিন্ন ক্যাম্প চালনা করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামপন্থী সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা।

আবার সেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবার টাকায় মসজিদ বানানো হয়েছে ভারতের হরিয়ানায়। এমনকি দরিদ্র গ্রামগুলোতে মেয়েদের বিয়ে দিতেও দেদারমে টাকা বিলিয়ে দিচ্ছে কট্টর জঙ্গি হাফিজ সাঈদের হাতে গড়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।

ভারতের হরিয়ানায় এই মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ধরনের তথ্য পেয়েছেন ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আর সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দায়ে মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ সালামন আর তার দুই সাগরেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম মুহাম্মদ সেলিম ও সাজ্জাদ আবদুল ওয়ানি। মসজিদটি বানানো হয়েছে হরিয়ানার পালওয়াল জেলার উট্টাওয়ার গ্রামে। মসজিদটির নাম ‘খুলাফা-ই-রাশিদিন’। ওই মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ সালমান জিজ্ঞাসাবাদে এনআইএ-কে জানিয়েছেন, লাহোরের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ফালাহ-ই-ইনসানিয়াৎ ফাউন্ডেশন (এফআইএফ)-এর কাছ থেকে তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের ওই বেসরকারি সংস্থা এফআইএফ চালায় হাফিজ সাঈদের হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি)। কট্টর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা যার ছাতার তলায় রয়েছে। এফআইএফ-এরও নাম রয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায়। এনআইএ-র একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হরিয়ানার গ্রামে ওই মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ সালমানকে জেরা করে জানা গেছে, দুবাইয়ে থাকার সময় তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে। এনআইএ-র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হাফিজ সাঈদের দলের চালানো ওই বেসরকারি সংস্থাটি হরিয়ানার উট্টাওয়ার গ্রামে মসজিদটি বানানোর জন্য ইমাম মুহাম্মদ সালমানকে ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্যেও টাকা দেওয়া হয়েছিল ওই ইমামকে। মসজিদটি এখন কার টাকায় চলছে, আর সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হচ্ছে, এখন আমরা তার তদন্ত করছি।

সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবার নেতৃত্ব দেন হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ। তিনি পাকিস্তানে থাকেন -জামাত-উদ-দাওয়ার আমির। তবে মুম্বাই হামলার ব্যাপারে তাঁর জড়িত থাকার জন্য অস্বীকার করে বলেন, আমি লস্করের প্রধান নাই। আরো আছেন আবদুল রেহমান মক্কী, জাকিউর রহমান লকভি, ইউসুফ মুজাম্মিল, জাফর শাহ, মুহাম্মদ আশরাফ, মাহমুদ মোহাম্মদ আহমেদ বাহাজিক প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *