পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াছে ইয়েমেনিরা মন্তব্য করে ইয়েমেনের জনপ্রিয় সংগঠন আনসারুল্লাহ’র মুখপাত্র আব্দুস সালাম বলেছেন, মার্কিন নির্দেশে ইয়েমেনে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। বর্তমানে ইয়েমেনি জনগণ মাতৃভূমি রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
পার্সটুডে সূত্রে জানা যায়, ৮ নভেম্বর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ইয়েমেনের জনপ্রিয় সংগঠন আনসারুল্লাহ’র মুখপাত্র আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ইয়েমেনিদের অবস্থান মোটেই উদ্বেগজনক নয়। আল-হুদায়দা এলাকায় সৌদি ধ্বংসযজ্ঞ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগ্রাসীরা আবাসিক এলাকাসহ প্রদেশের মৌলিক অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, সৌদি জোটের সঙ্গে যুদ্ধে ইয়েমেনিদের অবস্থান ভালো।
সম্প্রতি সৌদি আরব হুদায়দায় হামলা জোরদার করলেও ইয়েমেনিদের পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইয়েমেনিদের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত বহু আগ্রাসী সেনা নিহত হয়েছে। সৌদি আরব হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ক্রেতা। ইসরাইল ও আমেরিকার সমর্থনে ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব ও তার কয়েকটি মিত্র দেশ।
এদিকে কিছুদিন আগে মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম বলেছেন, এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি হচ্ছে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রধান টার্গেট। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ইয়েমেনে চলমান আগ্রাসনে সৌদি আরবকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তিনি আরও বলে, ইয়েমেনের সেনাবাহিনী সীমান্তে অভিযান জোরদার করবে এবং সৌদি আরবের গভীরে হামলা চালাবে।
আনসারুল্লাহ’র মুখপাত্র আব্দুস সালাম বলেছেন, জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক প্রতিনিধি ইসমাইল ওয়ালাদ আল শেইখ আহমাদ রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেন নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং আমরা সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, ইয়েমেনের সা’দা প্রদেশে সৌদি নেতৃত্বাধীন জঙ্গি বিমানের হামলায় দুই ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। ইয়েমেনের পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসানো এবং জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে দমনের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। এ পর্যন্ত এসব পাশবিক হামলায় অন্তত ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে এসব হামলায় ইয়েমেনের হাসপাতাল, স্কুল ও কল-কারখানাসহ দেশটির অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।