সুকুমার বৃত্তির বিকাশে শিল্প-সাহিত্যচর্চা গুরুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রপতি

সুকুমার বৃত্তির বিকাশে শিল্প-সাহিত্যচর্চা গুরুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রপতি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মূল্যবোধের অবক্ষয়রোধ এবং সুকুমার বৃত্তির বিকাশে শিল্প-সাহিত্যচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নবতর চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধের মাধ্যমেই নতুন মানুষ সৃষ্টি সম্ভব।’

‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি কর্তৃক এবারের একুশে গ্রন্থমেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ১০০টি বই প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমি আশা করি লেখক, পাঠক, প্রকাশক ও সাহিত্যপ্রেমীদের অংশগ্রহণে গ্রন্থমেলা বরাবরের মতো মহামিলন মেলায় পরিণত হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ বছর বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্রষ্টা এবং বাঙালি জাতির মন ও মানস গঠনে তার ভূমিকা অপরিসীম। তিনিই সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় ‘বাংলা সাহিত্য সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন।

ভাষা শহিদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি জাতীয় শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে অনন্য একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দেশ ও দেশের বাইরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বাংলা একাডেমি সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *