পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাস্তার পাশে টকপানি আর ঝালে ভিজিয়ে ফুচকা খাওয়া হয়নি তো আপনি মিস করেছেন অনেক কিছু। ফুচকা, পানিপুরি গোলগোপ্পে-একেক জায়গায় একেক নাম। একেক জায়গায় একেক রকম তার মনোমুগ্ধকর স্বাদ। কোথাও আলুর পুরের সঙ্গে টকপানির মিশেল। কোথাও আবার তেঁতুলের চাটনি সহযোগে চটপটির ঝাঁঝ। ফুচকার গুণের কথা নতুন করে আর কী বলার আছে! স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় একটি স্ট্রিট ফুড।
কিন্তু ফুচকা খাওয়ার আসল মজা আবার অন্য জায়গায়। প্রথমত, অনেকজন একসঙ্গে মিলে বিক্রেতাকে ঘিরে ধরে ফুচকা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর দ্বিতীয়ত, বিক্রেতার কাছে ফাও ফুচকা চেয়ে নেওয়ার আনন্দ। কখনো কখনো আবার বাড়তি টকপানির আবদার। কিন্তু সে সবই এখন অতীত। করোনা বদলে দিয়ে গেল গোটা সমাজজীবন।
কেউ কখনো ভেবেছিল, ফুচকা বিক্রির জন্য আসতে পারে এটিএম মেশিন! সেই মেশিনে কাছে আপনি না চাইতে পারবেন ফাও ফুচকা! না বাড়তি টকপানির আবদার করতে পারবেন! নির্দিষ্ট টাকার অঙ্কে নির্ধারিত ফুচকাই জুটবে ক্রেতার। তার থেকে একটিও বেশি পাবেন না। আবার কমও হবে না।
আশ্চর্য আবিষ্কার বলা যেতে পারে। মানুষের হাতের কোনো ছোঁয়া থাকবে না। মেশিনে টাকা প্রবেশ করালেই বেরিয়ে আসবে নির্ধারিত সংখ্যার ফুচকা। জানা গেছে, ভারতেই আবিষ্কার হয়েছে ফুচকার এই এটিএম মেশিন। সেই মেশিনের বোতাম অনায়াসেই স্যানিটাইজড করা যায়।
/এএ