গতানুগতিক বাজেট দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থা সচল হবে না : ইশা ছাত্র আন্দোলন

গতানুগতিক বাজেট দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থা সচল হবে না : ইশা ছাত্র আন্দোলন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আগামী অর্থবছরের জন্য গতানুগতিক বাজেট তৈরি করা হলে অচল শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এতে ঝরে পড়ার হার বাড়বে এবং এভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলা হয়। এজন্য তারা চারটি নীতিগত প্রস্তাব এবং ১১টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন বাজেট প্রস্তাবনায় বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রধান উদ্দেশ্য হবে- করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনা, জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, শিক্ষাব্যবস্থা গতিশীল করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অথচ সেটি না হয়ে একটি গতানুগতিক বাজেট করা হচ্ছে।

বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা গেছে, আগামী বাজেটে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ অনুসরণ করা হচ্ছে। অথচ বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা বিরাজমান থাকলেও সে ধরনের বাজেট তৈরি করা হচ্ছে না। বাজেটে স্বাভাবিক নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে কর্মসংস্থান এবং জনমানুষের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করতে হবে। জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। সর্বোপরি, এ বাজেটে অগ্রাধিকার পেতে হবে জীবন, জীবিকা ও শিক্ষাব্যবস্থা।

আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান এবং জলবায়ু খাতকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানানো হয়।

এজন্য চারটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিতকরণ, করোনা সংকট নিরসন ও উত্তরণ, সুখী, সমৃদ্ধশীল ও টেকসই অর্থনীতি গড়তে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া এবং তৃণমূল ও মধ্যম শ্রেণির মানুষের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

এসব নিশ্চিতকরণে রফতানি খাতকে গুরুত্ব দেয়া, অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণ, এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কালো টাকা সাদাকরণ বাতিল, আমলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোসহ ১১ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি সংগঠনের প্রধান নূরুল করীম আকরাম বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার একটি নতুন বাজেট প্রণয়ন করছে। করোনা সংকট মোকাবিলার জন্য বাজেটে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। গতানুগতিক বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এ বাজেটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষা খাতে অধিক বরাদ্দ এবং ব্যয় করার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করে উন্নয়ন করার বাজেটের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের করোনা ভুলে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাবে। শিক্ষা খাতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। এজন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইবসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *