- ফয়সাল আহমাদ
আজ বৃহস্পতিবার। ঘুম থেকে উঠে দেখি শরীরের ঘামে তোষক ভিজে চুপসে গেছে। গরমে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। তবে বাইরে ঘুপ ঘুপ শব্দে মনটা ভালো হয়ে গেল। ফজর নামাজ পড়ে হালুয়াওয়ালা ভাইয়ের থেকে হালুয়া কিনে এনে ক্লাসে বসে গেলাম। কিছুক্ষণ পর শফিক সাহেব হুজুর ডেকে বললেন, হোটেল থেকে নাস্তা নিয়ে আসো
হোটেল থেকে নাস্তা কিনে এনে দেখি সমস্ত উস্তাদ ও ছাত্ররা বাইরে একত্রিত হয়েছেন। মাদরাসার বিল্ডিংয়ের ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। রইসুল জামিয়ার দোয়ার মাধ্যমে কাজের বিসমিল্লাহ হলো।
দুপুরে খাবারের সময় বোর্ডিংয়ে যাওয়ার পথে দেখলাম তাদর জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবার খেয়ে এসে দেখি শ্রমিকরা ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে খেতে বসেছে। কেউ গাছের ছায়ায় আবার কেউ রোদের মধ্যেই পাটি বিছিয়ে বসে পড়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের খেতে থাকার দিকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ করেই এ মানুষগুলোর জন্য মনের ভেতর খুব করে মায়া জন্মালো। মনে মনে বলতে লাগলাম, আপনারা আমাদের জন্য ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। একজন মানুষের শ্রমের মূল্য পৃথিবীর কোনোকিছু দিয়েই শোধ করা যাবে না। পরম করুণাময় আপনাদের প্রতি সহায় হোন। আপনাদের সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যাক।
লেখক, শিক্ষার্থী