১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দোয়া ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোরআন-হাদিসে, রাসুল (সা.)-এর সিরাতে ও সাহাবিদের জীবনে দোয়ার প্রতি উৎসাহ ও গুরুত্ব দেখা যায়। হাদিসে বলা হয়েছে, যে আল্লাহর কাছে দোয়া করে না—আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। দোয়ার মাধ্যমে অসংখ্য অগণিত সওয়াব ও নেকি অর্জন করা যায়। সহজেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। যেকোনো বিপদ ও সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। হাদিসে দোয়ার মাধ্যমে নেকি ও সওয়াব লাভের অনেক বর্ণনা রয়েছে, যেসব দোয়া পড়লে সহজে বহু সওয়াব লাভ করা যায়। এখানে সহজ ও সংক্ষিপ্ত একটি দোয়ার আলোচনা করা হয়েছে, যেটি পড়লে অনবরত সওয়াব লেখা হয়।
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খলকিহি, ওয়া রিদ্বাকা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহ।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও তাঁর প্রশংসা বর্ণনা করছি, তার সৃষ্টি সংখ্যা পরিমাণ, তার মর্জি অনুযায়ী, তার আরশের ওজন পরিমাণ এবং তার কালামের কালির পরিমাণ।
জুআয়রিয়াহ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ভোরে আমার কাছ থেকে ঘরের বাইরে গেলেন এবং আমি জায়নামাজে বসে আল্লাহর জিকির করছিলাম, বেলা বাড়লে বা দিনের অর্ধেক অতিবাহিত হলে— রাসুল (সা.) ফের ঘরে এলেন। তখনও আমি একই অবস্থায় জায়নামাজে ছিলাম। রাসুল (সা.) তা দেখে আমাকে বললেন, আমি যাওয়ার সময় তোমাকে যে অবস্থায় দেখেছি, এখনো কি তুমি সেই আগের অবস্থায় রয়ে গেছ?
আমি বলেছি হ্যাঁ, রাসুল (সা.) বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর যে চারটি কলেমা পাঠ করেছি, তা যদি তোমার সকাল থেকে এই পর্যন্তের সব অজিফার বিপরীতে ওজন করা হয়, তাহলে এই চারটি কলেমার ওজন বেশি ভারী হবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৮০৬ ও ২৭২৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১৪০; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৫৫; নাসায়ি, হাদিস : ১৩৫২; আহমাদ, হাদিস : ২৬২১৮; সহিহ আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৪৭)
এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ওপরে বর্ণিত দোয়াটি ফজরের নামাজের পর তিনবার পাঠ করবে, সে জোহর পর্যন্ত সওয়াব পাবে।