৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
ইদের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়ে গেল। সারাদেশ এখনো ইদের আমেজে ভাসছে। সর্বস্তরের মুসলিমগণ ইদের খুশিতে এখন মাতুয়ারা। গ্রাম থেকে শহর। ধনী-গরীব সবার মাঝে ইদের আনন্দ।
ইদের আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে আমাদের দেশে বেপরোয়া হয়ে ওঠে কিছু মানুষ। বিশেষ করে যুব সমাজের মাঝে এই প্রবণতা বেশী। যুবক-যুবতীদের উচ্ছৃঙ্খলতা নজরে পড়ে বহু জায়গায়। শরীয়াতের গন্ডি পেরিয়ে ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে। যেটা মুমিন-মুত্তাকীদের ভাবিয়ে তোলে। অনেক জায়গাতে যুবকদের এসকল কর্মকান্ডে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ে। তাদের বেপরোয়াতে সুস্থ পরিবেশ হারিয়ে যায়। কোথাও কোথাও বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিশেষ করে বেপরোয়া বাইক চালানো, ট্রাকের উপরে ডিজে গান বাজায়ে উদ্যম নাচানাচি করে বহু আদম সন্তানের হতাহতের ঘটনা ঘটছে অহরহ।
তবে এবার কিছু কিছু জায়গায় এক ভিন্ন চিত্র নজরে পড়ল। সমাজের কিছু মানুষ নিজ উদ্যোগে যুব সমাজের উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেছেন। তারা রাস্তায় রাস্তায় ওসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। যেটা খুবই প্রশংসনীয়। যু্বকদের ট্রাক থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন। কোথাও বেপরোয়া গতির বাইক চালানো রোধ করছেন। যাতে একটা সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে তার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আসলে উচ্ছৃঙ্খলতা কারা করে? কারা এই বেপরোয়া গতির বাইক চালায়? তারা তো আমাদেরই সন্তান, আমাদের কারো ভাই, কারো ছেলে, কারো মেয়ে, কারো ভাতিজা। সুতরাং আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ফেরাতে পারি, তাহলে আর কারো প্রয়োজন হয়না। নিজেরা উদ্যোগী হলে আর অন্য কাউকে ডাকা লাগবেনা। এমনকি প্রশাসনও খবর দেওয়া লাগবেনা।
এজন্য আসুন! সামাজিক ভাবে আমরা তৈরী হই। সমাজের যেকোন অন্যায়-অশ্লীলতার বিরুদ্ধে, যে কোন অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিশেষ করে সমাজ থেকে দেশ বিরোধী, ইসলাম বিরোধী যে কাজে আমরা নিজেরা প্রতিবাদী হতে পারি। আজ আমাদের সমাজে বহু যুবক মাদকাসক্ত। গাঁজা, ফেনিসিডিল ইত্যাদী নেশায় বুদ হয়ে থাকে। আমরা সামাজিক ভাবে পদক্ষেপ নিলে সব কিছু রোধ করা সম্ভব।
মাদকের থাবা এখব সব জায়গাতে। সমাজের নিম্ন শ্রেণী থেকে একদম এলিট শ্রেণীর মানুষের মাঝে মাদক বাসা বেঁধে আছে। অভিভবাকগণ দিশেহারা। অনেক গার্জিয়ান হার মানছে। কিছু করতে পারছেনা। প্রশাসনের লোকেরাও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমরা সামাজিক ভাবে যদি সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসি, তাহলে দেখবেন মাদকের ছোবল কমে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে এর কূপ্রভাব থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। এজন্য চাই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন।