পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের চেষ্টা করায় শিশুসহ ১১২ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
মায়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বোগালেতে এক ডজন শিশুসহ মোট ১১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে তাদের গত ২০ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারে বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়। এমনকি তারা স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুবিধা পান না। শুধু তাই নয় দেশে ভ্রমণের জন্যও তাদের অনুমতি নিতে হয়।
এর আগেও দেশের ভেতরে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকায় ৩৫ জনের একটি দলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রতি বছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ করে।
২০১৭ সালে সামরিক দমন-পীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের মর্মান্তিক কাহিনী লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
গণহত্যার পর মিয়ানমার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনের কাছে হেলেগু শহরের কাছে রাস্তার পাশে ১৩ জন রোহিঙ্গাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মায়ানমার পুলিশ পরে মৃত্যুর সাথে জড়িত একটি মানব পাচারকারী চক্রের ১২ সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একটি রোহিঙ্গা সূত্র এবং স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, এই দলটি গ্যাংয়ের সাথে যুক্ত একটি তেল ট্যাংকারের ভিতরে ভ্রমণ করছিল।