২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

অ্যামাজনে অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ব্রাজিল সরকারের অভিযান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ব্রাজিলের প্রশাসন এই যুদ্ধ শুরু করেছে। বন্ধ করা হচ্ছে একের পর এক খনি। ব্রাজিলের একেবারে প্রান্তে অ্যামাজনের ভিতরে অবস্থিত রোরাইমা। ইয়ানোমামি জনজাতির বসবাস এখানে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা এখানে বেআইনি সোনার খনি তৈরি করেছে।

খনি কেটে তারা কেবল পরিবেশের ক্ষতি করেনি, একই সঙ্গে ইয়ানোমামি জনজাতির মধ্যে তারা অসুখ ছড়িয়েছে, দূষণ বাড়িয়েছে এবং এলাকায় সহিংসতার ঘটনা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গত সোমবার থেকে ব্রাজিলের প্রশাসন এই অঞ্চলে অপারেশন চালাতে শুরু করেছে।

খনি শ্রমিকেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ফলে কোনো কোনো অঞ্চলে কার্যত যুদ্ধের চেহারা নিয়েছিল এই অপারেশন। তবে ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উল্লেখযোগ্য অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। ওই এলাকায় ইয়ানোমামি জনজাতির মানুষ ছাড়া আর কাউকে থাকতে দেয়া হবে না।

ব্রাজিলিয়ান ইন্সটিটিউট অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড রিনিউয়েবল ন্যাচারাল রিসোর্সেস (আইবিএএমএ) এবং ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের (এফইউএনএআই) সশস্ত্র বাহিনী যৌথভাবে এই অপারেশন চালাচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, যে শ্রমিকেরা ওই অঞ্চলে অবৈধ খনিতে কাজ করেন, তারা অত্যন্ত গরিব।

বহু পথ পেরিয়ে তারা সেখানে গিয়ে খনির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন নানা ধরনের রাসায়নিক তারা ব্যবহার করেন সোনার খোঁজে। প্রশাসন এই অপারেশন শুরু করার পর জায়গায় জায়গায় তারাও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

এখনো পর্যন্ত একটি বিমান, একটি হেলিকপ্টার ও একটি বুলডোজার ধ্বংস করা হয়েছে। প্রচুর বন্দুক ও তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খনি শ্রমিকদের কাছে বাইরে থেকে কোনো জিনিস যাতে পৌঁছাতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইয়ানোমামি জনজাতি বিলুপ্তির পথে। তাদের বাঁচাতেই এই অপারেশন চালানো হচ্ছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। বস্তুত, লুলার সরকার আসার পরেই অ্যামাজনের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। চলতি অপারেশন তারই ফলশ্রুতি বলে মনে করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com