আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছে রোহিঙ্গারা

আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছে রোহিঙ্গারা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের রাখাইনে। এর ফলে আশ্রয়ের আশায় আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

জীবন রক্ষার্থে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবির এসেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক রোহিঙ্গা আবার সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছেন।

নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন হাজেরা বিবি। আশ্রয় নিয়েছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা আত্মীয়ের কাছে।

হাজেরা বিবি জানান, বার্মায় নির্যাতনের কারণে আামার বাবা-মা আগে থেকেই এখানে এসেছে। আমিও বাবা-মার কাছে চলে এসেছি। বার্মার মধ্যে বেশী সংঘর্ষ হচ্ছে তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। জেলেদের নৌকায় করে আরো ২ জন নারীর সাথে আমি এ পাড়ে এসেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা অনেকের স্বজন এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চান না তারা।

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহতের পর তুমব্রু সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৫টি মর্টারশেল এসে পরে বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তে। জিরো পয়েণ্টের কাছে পড়া গোলা দেখতে উৎসুক রোহিঙ্গারা ভিড় করলে ২টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক কিশোর নিহত হয়, আহত হয় আরো ৬ জন। আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে ঘুমধুমে পড়ে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। যদিও তার কোনো সুফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *