- আদিল মাহমুদ
আমি তো উদভ্রান্ত নই মাবুদ। মাতালের মতো অহেতুক বকিও না। তবুও জাহেলরা আমার কবিতাকে—শয়তানী কর্ম মনে করে। কবি বলে জাহান্নামের ভয় দেখায়! আমাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায়! আমার লেখা না পড়ে বলে, ‘যতসব মিথ্যে কল্পনা—নারীহে নিয়ে অশ্লীল প্রলাপ।’ শোনায় তোমার আয়াতের অংশবিশেষ!
আমি তো কেবল কবিতা লিখি মাবুদ। বাংলায় ফুটিয়ে তুলতে চাই তোমার কালামের সুর, নবিজির হাদিসের নূর। উপমায় দেখাই তাসবি দানার ফুল, ধর্মের নামে করা ভুল। তোমার রহম পেয়েই তো আমি কবি, এতে নাখোশ নয় স্বয়ং নবি। আমার প্রতিটি শব্দ—আল্লা আল্লা জিকির করে সাদা পাতায়, সমস্ত মুগ্ধতা নিয়ে—শুকরিয়া জানায় পাখিজমা সন্ধ্যায়।
আমি কবিতা লিখি বলে—জাহেলরা আমাকে কাফেরের সঙ্গে তুলনা করে। আল্লা-রাসূল—কবর- আখেরাতের ধারধারি না মনে করে—বেহুদাই নাস্তিক বলে। কিন্তু তুমি তো জানো মাবুদ, আমি পাপি হলেও তোমার সামনে দাঁড়ালে—ভয়ে কাঁপতে থাকে শরীর। আত্মাও শুরু করে মুহুর্মুহু। কাঁপা কণ্ঠে গাইতে শুরু করি—সূরা ফাতেহা ও ইখলাসের গান।
আমাকে এইসব জাহেলদের থেকে বাঁচাও মাবুদ। ইদানিং আমি যে তোমার থেকে তাদেরকে বেশি ভয় পাওয়া শুরু করেছি। সমস্ত কবিতার শব্দ ভুলে যাচ্ছি। আবাবিল পাখি পাঠিয়ে তোমার রহমে পাওয়া আমার নিস্পাপ কবিমনকে—তাদের থেকে রক্ষা করো। যেভাবে তোমার বাইতুল্লাহকে রক্ষা করেছিলে—আবরাহার বিশাল হস্তি বাহিনী থেকে।