আর্কটিক সার্কেলের প্রাকৃতিক স্বর্গে প্রথম ক্ষুদে বাংলাদেশি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পৃথিবীর উত্তরমেরু-বলয়ে বাংলাদেশের এক ক্ষুদে পর্যটক পা রেখেছেন। অঞ্চলটিকে আর্কটিক সার্কেল বলে। ফাযায়েল ইকবাল আরাফ রহমান মাত্র ৭ মাস বয়সে আর্কটিক সার্কেলে পা রাখেন।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ২০ নভেম্বর তার পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমায় ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমির আর্কটিক সার্কেলে। এ সময় কর্তৃপক্ষ তাকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করে।
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি থেকে প্রায় সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান। সুপার ফাস্ট ট্রেনে যেতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া আকাশ পথেও যাওয়া যায়।
পৃথিবীর উত্তরমেরুর নিকটস্থ বৃত্তাকার অঞ্চলটিকে বলা হয় আর্কটিক সার্কেল। বছরে স্বল্প সময়ে সূর্যের আলো পড়া, এক নৈস্বর্গীক জগত এটি। আর্কটিক সার্কেল পৃথিবীর মানচিত্রের উপর দেখানো অক্ষাংশের ৫টি প্রধান সার্কেলের মধ্যে সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত এবং বৃহৎ।
এটির আয়তন প্রায় ২০,০০০০০০ বর্গ কিমি (৭৭,০০০০০ বর্গ মাইল) এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের প্রায় ৪%। এটি উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণতম অক্ষাংশ হওয়ায় গ্রীষ্মকালে কিছুদিন সূর্য অস্ত যায় না, যাকে পোলার ডে বলে। আবার শীতকালে কিছুদিন সূর্য উদয় হয় না যাকে পোলার নাইট বলে।
আর্কটিক সার্কেল অঞ্চলটি আর্কটিক ওসান, রাশিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা প্রভৃতি দেশের সর্ব উত্তরের অংশ নিয়ে গঠিত। এলাকাগুলো বছরের বেশিরভাগ সময়ে বরফাবৃত থাকে। স্থলভাগের বিশাল বিশাল হিমশৈল এবং আর্কটিক ওসান বা উত্তরমেরু মহাসাগরে ভাসমান দানবাকৃতির বরফচাই যেন এই অঞ্চলের প্রধান বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, ইকবাল আরাফ তার পিতা-মাতা আব্দুল্লাহ ইকবাল ও ফারজানা রহমান চৈতীর সঙ্গে ভ্রমণটি করে।