৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ফোনালাপে এই কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা গেছে।
পুতিনকে এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি উদ্যোগকে সহযোগিতার জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতি ও ন্যায্য সমাধানের লক্ষ্য থাকা উচিত।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর থেকে নিয়মিত কথা বলেছেন পুতিন ও এরদোয়ান। জাতিসংঘ ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্য রফতানির চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখে তুরস্ক।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন শান্তি ও আলোচনাকে অবশ্যই একতরফা যুদ্ধবিরতি ও ন্যায্য সমাধানের লক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।
ফোনালাপে শস্যচুক্তির ইতিবাচক ফলাফল পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন এরদোয়ান।
এর আগে মঙ্গলবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার তরফে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে নেওয়া ইউক্রেনের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি জানি না রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠক হবে কিনা। যুদ্ধের শুরুতে কূটনীতির সুযোগ ছিল। এখনও সেই সুযোগটি পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায়নি। তবে শর্তগুলো কঠিন।
যুদ্ধরত ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে তুর্কি সরকার। কিন্তু ন্যাটো মিত্র হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। একই সময়ে ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করছে তারা। যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব ড্রোন। একই সঙ্গে সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগোরনো-কারাবাখ সংকটে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে তুরস্ক। বিশেষ করে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে।