২রা মার্চ, ২০২১ ইং , ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রজব, ১৪৪২ হিজরী
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক উপস্থিত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি লোকজন উপস্থিত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শতাধিক বাসসহ কয়েশ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে সৈকতে আসেন পর্যটকরা। মূল সড়কে গাড়ি রাখতে হিমসিম খায়। পরে আশপাশের খোলা স্থানে এগেুলো রাখতে হয় মালিক ও চালকেদের। সকাল থেকে দিনভর সৈকতে হৈ-হুল্লোড় আর সমুদ্রে গোসলসহ নানা উপায়ে আনন্দ করছেন এখানে আসা পর্যটকরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে স্বপরিবারে আসা ফাহিম আহম্মদ জানান, ‘খুব ভালো লাগছে। এখানে শীত টের পাইনা তাই সমুদ্রে গোসলে খুব দারুন লাগছে।
ঝিনাইদহ থেকে আসা পর্যটক নাবিলা জানান, ‘আমি আরও একবার এসেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। এবার পর্যটকদের অনেক বেশি চাপ থাকলেও বেশ ভাল লাগছে। তাছাড়া সমুদ্র সৈকতটিও অনেক পরিচ্ছন্ন ও বড় মনে হচ্ছে।
সৈকতে ডাব বিক্রেতা সেলিম জানান, ‘অনেক ভীড়, শীত না থাকায় আমার ডাব বিক্রিও ভালো। বিকেলে সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকরা সৈকতে ভীড় করলে দেখে মনে হয় সৈকতে মেলা বসেছে।’
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারী জেনারেল আনোয়ার হোসেন আনু জানান, গত মার্চ মাস থেকে করোনাকালীন সময়ের মধ্যে শুক্রবার সব চেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে কুয়াকাটায়।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান,শুক্রবার সবগুলো হোটেলই বুক হয়েছে। অনেক পর্যটক এসেছে।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন জানান, ‘গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ তাদের সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের পূরো টিম কাজ করে যাচ্ছে।’