একটি সুলতান সুলায়মান প্রকাশনা উৎসবের কথা
কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক :: অনুষ্ঠান এতটা প্রাণবন্ত হবে—ধারণা ছিল না। সব প্রশংসা মহামহিম আল্লাহর। তাঁর তাওফিকে মুহাম্মদ পাবলিকেশন্সের আয়োজনে সুন্দর কিছু সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। মূল্যবান দিকনির্দেশনা পেয়েছি খ্যাতিমান লেখক মাওলানা জুবাইর আহমদ আশরাফ এবং মাসিক মদীনা সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দিন খানের আলোচনায়। আহমাদ গালিব সাহেবের বক্তব্য সুদীর্ঘ হলেও ছিল উপভোগ্য এবং শিক্ষণীয়। বিশেষত ইসলামি প্রকাশনা জগতে নান্দনিকতার বার্তাবাহী তাঁর বিশ্লেষণের সাথে আমি একমত। মাওলানার উন্নত বাচনশৈলী ও বিশুদ্ধ শব্দচয়ন বরাবরই আমাদের মোহিত করে।
মুফতি তারেকুজ্জামান ভাইয়ের আলোচনাও কম সুন্দর ছিল না। প্রসঙ্গের বাইরে না গিয়ে তিনি যেভাবে সম্পাদকের জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে নিশ্চিত হলাম—যেকোনো সভা-সেমিনারে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর আলোকে তিনি তাৎক্ষণিক দীর্ঘক্ষণ যথাযথ আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন। কলমের মতো তাঁর জবানও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে ব্যয় হোক—কামনা। আসলে সময়স্বল্পতায় অনেক নামিদামি ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে দীর্ঘ সময় আলোচনা শুনতে পারিনি—যে উদ্দেশ্যে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবুও অল্পকথায় জহির উদ্দিন বাবর ভাই, মুনীরুল ইসলাম ভাই এবং মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী ভাই তাঁদের মূল্যবান মূল্যায়ন ব্যক্ত করেছেন। সবার প্রতি শুকরিয়া।
আবদুল্লাহ আল মাসউদ ভাইয়ের ধারালো বক্তব্য এবং আকরাম হোসাইন ভাইয়ের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা শুনতে পারলে ভালো লাগত। ভালো লাগত মুফতি উবায়দুল হক খান, বোরহান আশরাফী, খালিদ আরাফাত, সাজ্জাদ হোসাইন, মাহমুদ জাফরসহ কয়েকজনের মন্তব্য শুনলে। ‘নুন খাইলে তো গুণ গাইতে হয়’, কিন্তু মিষ্টি খাইলে যে গুণ গাইতে হবে—এমন কথা নেই। তাই ‘সুলতান সুলায়মান’ বইটির ব্যাপারে উপস্থিত-অনুপস্থিত সকল বোদ্ধা পাঠকের কাছে পাঠপরবর্তী পর্যালোচনা ও মন্তব্য আশা করতেই পারি। অনেক কষ্টে সম্পন্ন কাজটি নিয়ে কাছের মানুষের কাছ থেকে এটুকু আশা করা সম্ভবত অপরাধে পর্যায়ে পড়ে না। যাই হোক, সঞ্চালক সালমান মোহাম্মাদ, আয়োজক ও প্রকাশক আবদুল্লাহ খানসহ সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। ব্যবসায় বারাকাহ দান করুন। প্রকাশিত বইগুলোকে কবুল করুন।