২৪শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রোজাদার মুমিন মুসলমানের জন্য ইতেকাফ সুন্নাতে মোয়াক্কাদায়ে কিফায়া। সমাজের পক্ষ থেকে কেউ ইতেকাফে বসলে তা সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। এ বছর ইতেকাফ শুরু হবে আগামী শুক্রবার (২২ এপ্রিল)। পবিত্র লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশায় ইতেকাফকারীরা ওইদিন (শুক্রবার) ইফতারের আগে মসজিদে উপস্থিত হবেন। প্রত্যেক রোজাদার ইবাদত-বন্দেগির প্রতিযোগিতায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
গত দুই বছর মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ও সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে নানান শর্তের বেড়াজালে যথাযথভাবে ইতেকাফে অংশগ্রহণ করতে পারেনি রোজাদাররা। এবার সেভাবে বিধি-নিষেধ না থাকলেও স্বাস্থ্য সচেতনা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে ইতেকাফ পালন করবেন রোজাদার মুমিন মুসলমান।
রমজানে ইতেকাফ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো- রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করা। রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়ার চেষ্টা করা। কারণ এই রাতটি হাজার বছরের চেয়েও মর্যাদার। এ কারণেই নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের প্রতিটি বছরই রমজানে ইতেকাফ পালন করতেন।
আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদাত বন্দেগির সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দেয় ইতেকাফ। এই ইতেকাফের মাধ্যমেই লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিজেদের নফসকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে নিয়োজিত করার ও তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার একমাত্র উপায়। তাই দুনিয়ার সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহর জিকির-আজকারের মাধ্যমে ইতেকাফে আত্মনিয়োগ করা জরুরি।
রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান সূর্যাস্তের আগ থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া সূর্যাস্ত পর্যন্ত (৯ বা ১০ দিন) ইতেকাফ করতে হয়।
উল্লেখ্য, এছাড়াও পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনাসহ যারা একদিন আগে রোজা রেখেছেন, তারা ইতেকাফের নিয়তে প্রস্তুতিসহ বৃহস্পতিবার ইফতারের আগেই মসজিদে উপস্থিত হবেন। ইতেকাফের প্রথম দিন থেকে শাওয়ালের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত বেজোড় রাতগুলোসহ প্রতিদিনই লাইলাতুল কদর পাওয়ার এবং আল্লাহ সন্তুষ্টি পেতে ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে ইতেকাফে পালনের তাওফিক দান করুন। ইতেকাফের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হাসিলের তাওফিক দান করুন। মহামারি করোনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।