করোনায় ইতালি দূতাবাসের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!
পলাশ রহমান :: ইতালিতে একজন করোনাক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিক শনাক্ত হয়েছেন। এমন একটা খবর ছড়িয়ে পড়ে গত কদিন থেকে। ঢাকার দুটি লিডিং দৈনিকসহ অনেকগুলো অনলাইন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ব্যাপক প্রচার পায়। পরে জানাযায় ওটা ছিল মিথ্যা খবর। মিলানোয় করোনাক্রান্ত কোনো বাংলাদেশি শনাক্ত হননি।
মিথ্যা খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তড়িঘড়ি একটা ঘোষণা দিতে দেখা যায়। সেখানে বলা হয় বাংলাদেশে যেতে হলে স্থানীয় স্বাস্থ্যসনদ দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করে নিয়ে যেতে হবে। এ ঘোষণা নিয়ে কম্যুনিটিতে বিস্তর প্রতিক্রিয়া হয়। সচেতন মহল বলেন, এতে মানুষ বেশি হয়রানির শিকার হবেন এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন।
করোনার সংক্রমণ রোধ করতে ইতালি সরকার যে কোনো গ্যাদারিং এড়াতে বলেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস তিন সপ্তাহ আগে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে দূতাবাসের অভিবাসী সংক্রান্ত কাজ সংকুচিত করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দূতাবাসে না যেতে বলা হয়েছে। এই ঘোষণার পর কীভাবে দূতাবাস সার্টিফিকেট সত্যায়ন করতে বলে? এতে তো করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় সরকারের নির্দেশ অমান্য হবে। প্রবাসীদের বাড়তি খরচ ও সময় ব্যয় হবে।
আজ দূতাবাস নতুন এক ঘোষণায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যসনদ অভিবাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ ঘোষণা বিদেশি নাগরিকদের জন্য।
আমি বলছি না দূতাবাস পত্রিকার দায়িত্বহীন খবরে প্রভাবিত হয়েছে। তবে আগের ঘোষণাটার কারণে দূতাবাসের কাজের দক্ষতা নিয়ে সচতন মহলে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
করোনার সংক্রমণ ইতালিতে বেশ বেড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এপ্রিলের তিন তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভেনিসসহ আরো কিছু নতুন এলাকাকে বিপজ্জনক এরিয়া (zona rossa) ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় অর্ধেক ইতালি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
পেনিক না হয়ে সতর্ক থাকা দরকার। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মানা দরকার। অতিরঞ্জিত খবর এড়িয়ে চলা ভালো।
লেখক : ইতালি প্রবাসী