৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা মহামারীতে টিকা কেনা ও টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২ উপলক্ষে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একদিনে রেকর্ড পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়া এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি ডোজ প্রথম, সাড়ে ৮ কোটি ডোজ দ্বিতীয় এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এত বড় একটি কর্মযজ্ঞে তেমন কোনো অনিয়ম বা ত্রুটি দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে ২২ কোটি দিয়ে করোনা মহামারি থেকে দেশকে রুখে দেয়ায় ব্লুমবার্গ করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে অষ্টম অবস্থানে তুলে এনেছে। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। টিকা ক্রয় ও টিকা দান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দ্রুতই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে।
দেশে কিডনি বিকল রোগের ভয়াবহতা বাড়ছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক এখনই রোগটির বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় দিনে ২০ জন মানুষ মারা গেলে আমরা কত চিন্তায় থাকি। অথচ কিডনির অসুস্থতায় দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে, ক্যানসারে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ মারা যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আমরা খুব বেশি সচেতন থাকি না। এই রোগগুলো নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম ও নেফ্রলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস।