করোনা ভাইরাসে পণ্যের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হোক

করোনা ভাইরাসে পণ্যের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হোক

করোনা ভাইরাসে পণ্যের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হোক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনাকে আতঙ্ক মনে করো না বলছেন সবাই। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ধর্মীয় নেতারা পর্যন্ত একই কথা বলছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতিও একটা চাপের মধ্যেই পড়ে আছে। এ থেকে পরিত্রাণ যতটুকু সম্ভব ততটুকুই সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করা উচিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি পণ্যের ক্রেতা দেশগুলোয় ভয়াবহ ওই ভাইরাস থাবা বিস্তার করায় পণ্য আমদানিতে তারা কাটছাঁট করতে পারে এমন আশঙ্কা দানা বেঁধে উঠেছে রপ্তানিকারকদের মধ্যে। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন থেকে এ ভাইরাসের উদ্ভব এবং সে দেশের উৎপাদনব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় পোশাক আমদানিকারকরা বাংলাদেশের মতো দেশের দিকে ঝুঁকবে। কিন্তু অপ্রচলিত পণ্যের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হবে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য সমস্যা দেখা দিলে তা মোকাবিলায় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

বলেছেন, করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব এখন একটি বা দুটি দেশে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে অন্য দেশগুলো তাদের শিল্প খাত রক্ষায় কী উদ্যোগ নেয়, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই দেশের শিল্প খাতে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। করোনার প্রভাব বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক দিন ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প খাতগুলো। ১ মার্চ বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে তাদের ১৫০ কনটেইনার চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আটকে গেছে। এতে তৎক্ষণাৎ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা। চীনের পর ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ফলে নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশ পাচ্ছেন না তারা। তাদের মতে, করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে চামড়া খাত বড় রকমের ঝুঁকিতে পড়বে।

শাক-সবজি, ফলমূল, হিমায়িত মাছ, কাঁকড়া, কুঁচে ইত্যাদি পণ্য রপ্তানিতেও ধস নামা শুরু হয়েছে। নামমাত্র মূল্যে কোরবানির চামড়া কেনায় চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসায়ীরা অতিলাভের যে সুখস্বপ্ন দেখছিলেন তা অনেকটা নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। তবে শাক-সবজি, ফলমূল, হিমায়িত মাছ ও খাদ্য রপ্তানিকারকদের সুরক্ষায় সরকার এগিয়ে আসবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *