কল্যাণকামী ক্ষুদ্র প্রাণী ও আল্লামা মাসঊদ

কল্যাণকামী ক্ষুদ্র প্রাণী ও আল্লামা মাসঊদ

হোসাইন আহমদ বাহুবলী ● বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিজয়ী ঐশীগ্রন্থ, অশান্ত পৃথিবীর বুকে শান্তির স্রোতধারা বইয়ে দেওয়ার একমাত্র খোদাদাদ প্রস্রবণ, রুগ্ণ বিশ্বটাকে সুস্থ করে তোলার একক প্রেস্ক্রিপশন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের ১১৪টি সূরার ২৭তম সূরা আন-নামল এর ১৭-১৮-১৯ নং আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা জগতের এক ক্ষুদ্রতম প্রাণী “পিঁপড়া”র আলোচনা টেনেছেন।
এভাবে,
وَحُشِرَ لِسُلَيْمَانَ جُنُودُهُ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ وَالطَّيْرِ فَهُمْ يُوزَعُونَ(১৭)

حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ (১৮)

فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِّن قَوْلِهَا وَقَالَ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ(১৯)

(আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল।

অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে’।
তারপর সুলাইমান তার কথায় মুচকি হাসল এবং বলল, ‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’।)

লক্ষ্যণীয়!
১} কেয়ামত পর্যন্ত পঠিতব্য আল-কুরআনে পিঁপড়ার নামে সূরা (আন-নামল)!
২) পিঁপড়ার পূর্ণ বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে সরাসরি আয়াত!
২} সোলায়মান পয়গম্বর সিংহাসনসহ পিঁপড়ার সান্নিধ্য গ্রহণ!
৩} নবী সোলায়মান কতৃক পিঁপড়ার নসীহত গ্রহণ!

তাফসীরে ইবনে কাসীর ও ক্বুরতুবীতে
৪} পিঁপড়ার নাম( طاخية-حرميا-حرس) “হারস-হারমিয়া-ত্বাখিয়া” উল্লেখ করণ!
৫} পিঁপড়ার বংশের নাম(بنو الشيصان) “বনু শশায়ছান” উল্লেখ করণ!
৬} পিঁপড়ার প্রজাতি (ذات جناحين)”ডানাযুক্ত” পিঁপড়া উল্লেখ করণ!
৭} পিঁপড়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা.انها عرجى) “খোঁড়া” উল্লেখ করণ!

পিঁপড়াটাকে অমর করে রাখার জন্য আল্লাহ কতই না সূক্ষ্ম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন!
কি কারণ?

পিঁপড়াটাকে এত সম্মানিত করার?

কারণ একটাই সে স্বজাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবার লক্ষ্যে শুধু একটু চেষ্টা করেছিল ।
আহ্বান করে বলেছিল, “হে আমার পিঁপড়াজাতি!

গর্তে ঢুকে যাও নতুবা সোলায়মান ও তার বাহিনী তোমাদের পিষ্ট করে ফেলবে”

নিজ জাতিকে আসন্ন ধ্বংস থেকে বাঁচানোর এ সামান্য চেষ্টার কারণে যদি এই ক্ষুদ্র পিঁপড়া হাজার-লক্ষ বছর ধরে অমর হতে পারে, তাহলে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের বিষয়ে আল্লাহর কী মহিমা হবে।

বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ হাফিযাহুল্লাহ তাঁর স্বজাতিকে সন্ত্রাসের অপবাদ থেকে বাঁচানোর জন্য তল্লাশি নামক ধ্বংসাত্মক অভিযান থেকে পরিত্রাণের জন্য “শান্তির ফতোয়া” সংগ্রহ করে অমর হবেননা কেন?

অমর হোক বা হোক এর ফায়দা, উপকারিতা সবাই লুটেপুটে খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *