২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সাইবার ক্রাইম ও কিশোর গ্যাং-এর প্রবণতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “কিশোর গ্যাং অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, এখানে বাবা-মা’রও দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।”
রবিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী রমজান মাসের আগে কেউ যেন খাদ্য মজুদ এবং খাদ্যে ভেজাল দিতে না পারে এবং সমাজ থেকে মাদকের অপব্যবহার, কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি এবং সাইবার অপরাধ নির্মূলে আরও মনোযোগী হতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিশেষ করে র্যাবকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সাইবার ক্রাইম মনিটর করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তার সরকার দেশকে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” হিসেবে গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমও বেড়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, দুর্দশা সৃষ্টি করা নয়।”
তিনি বলেন, “কিছু রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ যত অগ্রগতিই অর্জন করুক না কেন, তারা কিছুই দেখতে পায় না। আর একটি অংশ আছে যারা বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বদনাম করে এবং এর মাধ্যমে আর্থিক বা অন্যান্য সুবিধা অর্জন করে।”
র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাহিনীটির সদস্যদের তাদের সম্পর্কে অন্যরা যা বলে তাতে কান না দিয়ে দৃঢ়টার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের দেশ যা রক্তের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে… আমরা জানি কে কী করে এবং আমরা সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন করব। আমাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা অপপ্রচার চালায় ও বাংলাদেশের বদনাম করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। কেন তারা এটা করছে এবং তাদের উদ্দেশ্য আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশিরা বিচার করতে পারে কে ভালো বা মন্দ কাজ করেছে। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে আমাদের অবশ্যই তা নিয়ে কথা বলতে হবে। কিছু মানুষ কী বলছে তা নিয়ে মর্মাহত হবেন না। আপনাদেরকে আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”
কিশোর গ্যাংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। কিশোর গ্যাং বন্ধ করতে হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।