ক্ষমতার লোভ ও দ্বন্দ্ব থেকেই এমপি লিটনকে হত্যা

ক্ষমতার লোভ ও দ্বন্দ্ব থেকেই এমপি লিটনকে হত্যা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ● গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান গত শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বুধবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এ অবস্থায় চতুর্থ দিনে সাংসদ মনজুরুল ইসলাম  লিটন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধার বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. জয়নুল আবেদীন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক সাংসদ কাদের খান তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সাংসদ লিটন হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। মূলত সাংসদ হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা পাবার লোভ এবং নিজে সাংসদ থাকা অবস্থায় মনজুরুল ইসলাম লিটনের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন।

ডিআইজি আরও বলেন, যেহেতু হত্যাকা-ে অংশ নেয়া চার কিলার গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই আগামী ১৫ দিনের ভেতর এই মামলার চার্জশীট দেওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে আবদুল কাদের খানকে কারাগারে পাঠানো হয়। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলি বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ জামায়াত-বিএনপির প্রায় দেড় শতাধীক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে আবদুল কাদের খান, আনোয়ারুল ইসলাম রানা, শাহীন মিয়া, আবদুল হান্নান ও মেহেদী হাসানসহ ২৮ জনকে সাংসদ লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বাকিদের বিভিন্ন সময়ে সুন্দরগঞ্জে সংঘটিত বিভিন্ন নাশকতার মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।

patheo24/mr

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *