পাথেয় রিপোর্ট : গোপালগঞ্জে বাস-মাহেন্দ্র সংঘর্ষে শিশু ও মহিলাসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার হরিদাসপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশাহী গ্রামের আল আমীনের মেয়ে মরিয়ম (৮), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের ঝিলু গাজীর ছেলে মোর্শেদ গাজী (৫৫), তে-বাড়ীয়া গ্রামের কাশেম শেখের দু’ছেলে জানে আলম (৩৭), আকাব্বার শেখ (৩৩), শুকতাইল গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে থ্রি-হুইলার চালক রাজিব মোল্লা (২৬), চন্দ্র দিঘলীয়া গ্রামের সলেমান সিকদারের ছেলে জগলু সিকদার (৩০), আব্বাস মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লা (২৫), শুকতাইলের রং-মিস্ত্রী আল-আমিনের ছেলে নয়ন শেখ (১১), মেয়ে মরিয়ম খানম (৮), শ্যালিকা মেঘলা (৯) ও শাশুড়ি রেনু বেগম (৪৫)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জ গামী গোল্ডেন লাইনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মাহেন্দ্রের (থ্রি-হুইলারের) সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্রটি বাসের নিচে চলে যায়। দুমড়ে মুচড়ে মাহেন্দ্র ও বাস রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৪ জনসহ ৯ জন মারা যান। পরে আরো ২জন মারা যান। পুলিশ, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। আহত ২০ জনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন হারানো আল-আমিন জানান, তাঁর দুই ছেলেমেয়ে পাশেই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শঙ্করদি গ্রামে ওদের মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। ওদের নিয়ে আজ তাঁর শাশুড়ি মাহেন্দ্রতে করে বাড়ি আসছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনা তাঁর সব শেষ করে দিল। এখন তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলে ছাড়া আর কোনো সন্তান নেই।