পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় ঘুড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে সোহান (৬) নামে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপরে অপহরণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার বালিয়াচন্ডী গ্রামের ইয়াজউদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০) ও নেত্রকোনা জেলার করমাকান্দা থানার দিলুরা গ্রামের আক্কাস মিয়ার ছেলে ফারুক (২৭)।
পুলিশ জানায়, গার্মেন্টকর্মী নুর ইসলাম ও গৃহিনী নাসিমা আক্তার স্থানীয় সাতাইশ চৌরাস্তা বাছির উদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই দম্পত্তির ৬ বছরের শিশুপুত্র সোহান বাসার সামনে খেলাধুলা করছিল। একপর্যায়ে ঘুড়ি কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সোহেল ও ফারুক তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরে আসামি ফারুক সোহানের বাবার প্রতিবেশি মোক্তার হোসেনের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ১লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় সোহানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মোক্তার হোসেন তাৎক্ষণিক ভিকটিমের বাবাকে বিষয়টি জানায়।
অপহৃতের বাবা ঘটনাটি টঙ্গী পশ্চিম থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। একপর্যায়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ভাকরাল বালুর মাঠ থেকে অপহৃত শিশু সোহানকে উদ্ধার করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামি সোহেলকে ঢাকার ফার্মগেইট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি ফারুককে ভাদাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা মুক্তিপণের আশায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সোহানকে ঘুড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে অটোরিকশায় তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহআলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।