পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ‘এই ইসলাহী ইজতিমার মূল উদ্দেশ্য নফসের খারাবী থেকে মুক্তির পথ খুঁজে নেওয়া’ বলে জানিয়েছেন দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) তাড়াইলের বেলংকা জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি আয়োজিত ইসলাহী ইজতেমার প্রথম দিন রাত ১০ টায় ইসলাহী বায়নে এ কথা বলেন মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী।
মানুশ ও ফেরেশতার মাধ্যকার সত্তাগত পার্থক্য বর্ণনা করতে গিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান বলেন, ‘ মানুষ ও ফেরেশতার মাঝে সত্তাগত দুটি পার্থক্য রয়েছে, মানুষের মাঝে ভালো ও মন্দ দুটি গুণ বিদ্যমান পক্ষান্তরে ফেরেশতার মাঝে কেবল ভালো গুণটি রয়েছে। তাঁদের একমাত্র কাজ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার হুকুমের তামিল করা। মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে এই দুটি ক্ষমতা দিয়ে ভাল্লাহ তা’আলা মূলত পরীক্ষা নিচ্ছেন যে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলবে নাকি অসন্তুষ্টির পথে চলবে। সন্তুষ্টির পথে চললে আল্লাহ বান্দার উপর খুশি হন এবং তাঁর নি’আমতকে দিগুণ করে দেন।‘
রাসূল সা. এর পাঁচটি উপদেশ সম্বলিত চমৎকার একটি হাদীস উদ্ধৃত করে এই মুহাদ্দিস বলেন, একবার রাসূল সা. আমার কাছে কিছু উপদেশ আছে তোমাদের মধ্যেএমন কে আছো যে তা গ্রহণ করবে? তখন আবূ হুরায়রা রাদি. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি আছি, আমাকে বলুন, রসূল সা. তাঁকে ৫ টি উপদেশ দিলেন,
এক.
হারাম থেকে বেঁচে থাকো
দুই.
তোমার ভাগ্যে যা আছে তাতেই তুষ্ট থাকো
তিন.
প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণ করো
চার.
নিজের জন্য যা পছন্দ করো অপর ভায়ের জন্যও তাই পছন্দ করো
পাঁচ.
কম হাসো
বয়ান শেষে তিনি বলেন, গত বছরের মতো এ বছর আবারও এই ইজতেমায় উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
ইজতেমায় মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফীর বয়ান উর্দু থেকে ভাষান্তর করেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র শিক্ষক মুফতি শফিকুল ইসলাম।