পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানের আকাশ ছিল মেঘহীন। ছিল রৌদ্রের ঝলকানি। কে ভেবেছিল, এসবের মধ্যে একটি ভয়ানক ঝড় আসবে প্রোটিয়া শিবিরে! টাইগার বোলারদের দাপটে টিকতেই পারেনি প্রোটিয়ারা। একের পর এক উইকেটের পতন ঘটেছে। কেউই ক্রিজে বেশি সময় থিতু হতে পারেনি।
মূলত সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নেমে প্রোটিয়াদের ১৫৪ রানে বেধে ফেলল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের সামনে ১৫৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল প্রোটিয়া শিবির।
তিন ম্যাচের সিরিজে এর আগে একটি জয় পেয়েছিল টাইগাররা। একটি জয় ছিল প্রোটিয়াদেরও। তৃতীয় ম্যাচটি তাই অঘোষিত ফাইনাল; যে জিতবে তার হাতেই যাবে একদিনের সিরিজের ট্রফি।
তাসকিন আহমেদ প্রোটিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলোই নিয়েছেন।
উদ্বোধনী ব্যাটার জ্যানেম্যান মালান (৫৬ বলে ৩৯ রান), কাইল ভ্যারেইন (১৬ বলে ৯ রান), ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস (২৯ বলে ২০ রান), ডেভিড মালান (৩১ বলে ১৬ রান) ও কাগিসো রাবাদার (৩ বলে ৪ রান) উইকেট নিয়েছেন তিনি।
দেশে মা ও সন্তানদের হাসপাতালে রেখে দেশের জন্য মাঠে লড়তে থাকা সাকিব আল হাসান নিয়েছেন একটি উইকেট। তিনি প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বেবুমাকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন। বেবুমা ১১ বলে করেছেন ২ রান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৮ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। যা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ক্রিকেটের যেকোন ভার্সনে টাইগার দলের প্রথম জয়। সেই সাথে ১৯ ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসে তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: জানেমান মালান, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রসি ভ্যান ডার ডুসেন, কাইল ভেররেন্নে, দাভিদ মালান, ডেভিড মিলার, তাবরিজ শামসি, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, ওয়েন পারনেল এবং লুঙ্গি এনগিডি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।