পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবচেয়ে পীড়াদায়ক বিষয় হলো ‘এটা খাওয়া যাবে, ওটা খাওয়া যাবে না’। অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ফলও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হারাম করে দেন ডাক্তার।
ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি ফল খেতে পারেন না। কারণ এইসব ফলে চিনির পরিমান অনেক বেশি থাকে। যা রক্তে শর্করার পরিমান বাড়িয়ে দেয়।
তবে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিশেষ উপকারী। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি ফলে ভিটামিন এবং ফাইবার রয়েছে, যা টাইপ টু ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের খেতে কোনো বাধা নেই। চলুন জেনে নেই এমন কয়েকটি ফলের নাম।
কিউই
আমাদের দেশে এই ফল উৎপন্ন না হলেও আমাদের দেশে কিনতে পাওয়া যায়। এই ফল অনেক বেশি সুস্বাদু, তা বলা যাবে না। তবে এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ একটি ফল। এই ফলে আছে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও নিয়মিত এই ফল খাওয়া যাবে। এতে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকার পাবেন।
নাশপাতি
আমাদের অনেকের মনে করেন, নাশপাতিতে কোনো উপকার নেই। এটি মোটেও সঠিক নয়। বরং নাশপতির রয়েছে অনেক গুণ। এতে আছে প্রচুর ফাইবার, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন এই ফল। নিয়মিত নাশপাতি খেলে দূর হবে হজমের সমস্যাও।
আপেল
আপেল কতটা উপকারী সে সম্পর্কে কম-বেশি সবারই জানা। আপেলে আছে প্রচুর ফাইবার। একটি আস্ত আপেল খেয়ে নিলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফাইবার ছাড়াও এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
পিচ ফল
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আরেকটি উপকারী ফল হলো পিচ। এটি বিভিন্ন ফলের দোকান ও সুপার শপে কিনতে পাবেন। আপেল কিংবা নাশপাতির মতো পিচ ফলেও আছে প্রচুর ফাইবার। এটি আমাদের শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
জাম ও অন্যান্য বেরি
বেরি জাতীয় সব ধরনের ফল ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য উপকারী। আমাদের দেশে জাম সহজলভ্য। এ ধরনের ফলে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা শরীরের পক্ষে খুব ভালো। তাজা বেরি কিনতে না পাওয়া গেলে ড্রাই ফ্রুট হিসেবেও খেতে পারেন এই ফল। এটি ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
