পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা। সম্প্রতি দেশটিতে অতিসংক্রমণশীল আরেকটি ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ ধরনটিকে বলছেন ডেল্টা প্লাস। এটি সংক্রমণের দিক থেকে ডেল্টার চেয়েও দ্রুতগামী। এ নিয়ে কেবল ভারতই নয়, বিশ্বের অনেক দেশই উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে।
ডেল্টা প্লাস ঠেকাতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অধিকতর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড-পরীক্ষাও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ডেল্টা প্লাসের ক্ষেত্রে খুব বেশি কার্যকর নয় এবং ফুসফুসের চারপাশে কোষগুলোর বাঁধন আরও দ্রুত ভেঙে ফেলতে পারে, তাই এই নতুন ধরন নিয়ে চিকিৎসকেরা এখনও দ্বিধায় রয়েছেন। এ কারণে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়েরও আশঙ্কা রয়েছে। নতুন এ ধরনের দাপট কতটা হবে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, টিকাকরণের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড যখন পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন করোনার এ নতুন ধরনগুলোর অস্তিত্ব ছিল না। তাই ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসের উপর কোনও প্রতিষেধক কতটা কার্যকরী, সেটাই এখন আসল প্রশ্ন।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, প্রতিষেধক নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেগুলো ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম নয়। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে অন্য কথা।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দুই-ই ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কার্যকর। কিন্তু কতটা কার্যকর বা কত সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে, এ ধরনের তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। গবেষণা চলছে এবং খুব তাড়াতাড়ি ফল জানা যাবে।
কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ভারতে পাওয়া যাচ্ছে স্পুটনিক ভি টিকাও। রাশিয়ায় তৈরি এ প্রতিষেধকের নির্মাতারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত করোনার যে কটা প্রজাতির খোঁজ মিলেছে, তার বিরুদ্ধে কার্যকর স্পুটনিক ভি। ডেল্টা ধরনও তার মধ্যে পড়ে।
ভারতে খুব তাড়াতাড়ি আসতে পারে ফাইজার প্রতিষেধক। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে ফাইজার প্রতিষেধক অনেকটাই কার্যকরী।