২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

তাড়াইলের ইজতেমা ‘বরকতের মজলিস’ : মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নফসের ইসলাহের জন্য আল্লাহওয়ালার দরবারে উপস্থিত হতে হয় বলে জানিয়েছেন দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) তাড়াইলের বেলংকা জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি আয়োজিত ইসলাহী ইজতেমার প্রথম দিন রাত ১০টায় ইসলাহী বায়নে এ কথা বলেন মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী।

তাড়াইলের ইজতেমাকে ‘বরকতের মজলিস’ জানিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আমাদের সেরতাজ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দামাত বারাকাতুহুম আয়োজিত এই ইসলাহী ইজতেমা বড় ‘বরকতের মজলিস’। আল্লাহর ফেরেশতারা এই ইজতেমাকে ঘিরে রেখেছেন। এখানে আমরা ইসলাহে নফসের জন্য এসেছি। তাই সবসময় জিকির-আজকার ও ইবাদাতে মগ্ন রইবো।’

তিনি বলেন, গত বছরের মতো এ বছর আবারও এই ইজতেমায় উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

ইসলাহের জন্য আল্লাহওয়ালার দরবারে উপস্থিত হতে হয় উল্লেখ করে দারুল উলুম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান বলেন, ‘এই ইজতেমা নফসকে ইসলাহ করার জায়গা। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে আত্মশুদ্ধির জন্য এসেছি। এখানে আমরা আল্লাওয়ালাদের কাছে নফসের ইসলাহ করবো। নফসকে ইসলাহ করার তরিকা শিখবো। আপনারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আল্লাহওয়ালার সুহবত ছাড়া নফসের ইসলাহ করা যায় না।’

ইহসানের জন্য দুটি জিনিস প্রয়োজন উল্লেখ করে মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী বলেন, ইহসান হলো দুটি জিনিসের নাম। এক. আল্লাহ তাআলা যে আমলকে যেভাবে আদায় করতে বলছেন সেই আমলটিকে ঠিক সেইভাবেই আদায় করা। দুই. ইখলাসের সাথে আমল-ইবাদাত করা। মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করলে আখিরাতে কোনো ফায়দা পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা এমন আমলকে পছন্দ করেন না এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব দেন না।

ইখলাসের ফায়দার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তাআলা তার আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। কেয়ামতের দিনের কঠিন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও কিছু লোক এমন থাকবেন যাদের কোনো পেরেশানি থাকবে না। তারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াবে। এই সাত ধরণের লোক কারা? যারা এই সাত ধরণের লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের সবার মধ্যে একটা গুণ বিদ্যমান থাকবে।

আর সেই গুণটি হলো, তারা সকলেই দুনিয়াতে কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যই আমল করতেন। আল্লাহ তাআলাকে রাজি খুশি করার জন্যই তারা ইবাদাত করতেন। আর এজন্য আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রাজী খুশি হয়ে যাবেন। তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। তাই আমরা সব আমল করবো কেবল আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই।’

ইজতেমায় মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফীর বয়ান উর্দু থেকে ভাষান্তর করেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র শিক্ষক মুফতি শফিকুল ইসলাম।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com