দিল্লির দাঙ্গাকবলিত এলাকায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ ও এমপি আজমলের ত্রাণ বিতরণ
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যখন বাংলাদেশে চলছে মোদিবিরোধী আন্দোলন তখন ভারতীয় আলেমগণও বসে নেই। তারা নিজেদের মতো করে মুসলমানদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। করছেন প্রতিবাদও।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, আসাম রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা বদরুদ্দীন আজমাল দিল্লির দাঙ্গায় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দাঙ্গাপীড়িত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা বলছেন, ভারত সবসময় হিন্দু মুসলিম একই সঙ্গে বসবাস করে আসছে। সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে মানবতা বিপন্ন করা কোনো মানুষের অধিকার হতে পারে না।
শুক্রবার জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারী মাওলানা হাকিমুদ্দীন কাসেমীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, আসাম রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি মাওলানা বদরুদ্দীন আজমাল দাঙ্গা কবলিত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান।
দাঙ্গা কবলিত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা পবিত্র জুমার নামাজও আদায় করেন। এ সময় সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানীর নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় জমিয়তে উলামার নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ‘এনআরসি’ ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন ‘এনপিআর’-এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। আইনগুলোকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় তিন দিনের গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তার ভাষণে বলেন, ‘জন্ম সূত্রে আমরা ভারতীয়, পৈতৃক সূত্রে আমরা ভারতীয় এবং উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা ভারতীয় আছি এবং ইনশাআল্লাহ থাকবই, থাকব। পৃথিবীর কোনো শক্তি আমাদের তাড়াতে পারবে না।’
তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি’র উদ্দেশ্যে তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে বলেন, ‘দেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, হিংসার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ওরা আগুন নিয়ে খেলা করছেন। ওই খেলা আমরা করতে দেবো না। আমাদের অবদানের বলেই তো দেশ স্বাধীন হয়েছে!’
জমিয়তের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গায়ে আন্দোলনের রক্ত আছে। বিজেপি-আরএসএসের ভয়ে আমরা গুটিয়ে যাব, ওরকম বদরক্ত আমাদের গায়ে নেই। আমরা বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলার মাটি, ভালোবাসার মাটি, সম্প্রীতি, সৌহার্দের মাটি, ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের মাটি। এখানে হিংসার কোনো স্থান নেই।’
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাবরী মসজিদ ভাঙার পরে পৃথিবীর সামনে বিজেপির মুখ পুড়েছে, গুজরাটের দাঙ্গায় মুখ পুড়েছে। নোট বাতিলের মধ্য দিয়ে মুখ পুড়েছে, কে গরুর গোশত খাবে কী খাবে না এতে মুখ পুড়েছে। একইভাবে নাগরিকত্ব ইস্যুতেও বিজেপি’র মুখ পুড়বে।’