দেখে এলাম উত্তরবঙ্গের জুম্মাপাড়া মাদরাসা

দেখে এলাম উত্তরবঙ্গের জুম্মাপাড়া মাদরাসা

দেখে এলাম উত্তরবঙ্গের জুম্মাপাড়া মাদরাসা

সাইমুম সাদী :: উত্তরবঙ্গের মাদ্রাসাগুলোর এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলাম। প্রত্যেকটি মাদ্রাসায় আলাদাভাবে মেহমানখানা রয়েছে। গতকাল সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নামার পর শুরুতেই আল জামেয়াতুল আরাবিয়া আল ইসলামিয়া সৈয়দপুরের উলামায়ে কেরামের আন্তরিকতায় অভিভূত হই।

মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম কাসেমী সাহেব নিয়ে গেলেন উনাদের মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার বিশাল বড় ক্যানভাস দেখে অবাক হলাম। আরও অবাক হলাম বিশাল মেহমানদারীর আয়োজন দেখে।

সৈয়দপুর থেকে চলে এলাম রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারিমিয়া নুরুল উলুম জুম্মাপাড়া মাদ্রাসায়।

এখানে আরোও বিস্ময় অপেক্ষার করছিলো। লম্বা মেহমানখানায় অনায়াসেই শ খানেক মেহমান রীতিমতো ঘর সংসার পেতে থাকতে পারবেন।

আমাদেরকে ভালবাসার জালে জড়িয়ে রাখলেন সম্মানিত নায়েবে মুহতামিম মাওলানা ইউনুস সাহেব সহ অন্যান্য আসাতেজায়ে কেরাম।

বিকেলে লালমনিরহাট সাহাবা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে আবার যেতে হলো আদিতমারি মারকাজুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসায়।

মেয়েদের এই মাদ্রাসা কয়েক একর জমি নিয়ে তৈরি করা। ঢাকায় মহিলা মাদ্রাসা মানে ছোট ফ্লাটের যে চিত্র আমরা দেখি তা নেই ওখানে। মেয়েদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার সকল ব্যাবস্থা রয়েছে এখানে। শ্রদ্ধেয় মুহতামিম মাওলানা মাওলানা জয়নুল আবেদীন সাহেবের আন্তরিকতা অতুলনীয়।

সাহাবা কমপ্লেক্স এর আজকের অনুষ্ঠান শেষে রাতে বগুড়ার জামিল মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য শ্রদ্ধেয় আবদুল হক হক্কানী হুজুরের নির্দেশ। আজকের প্রোগ্রামের আপডেট ইনশাআল্লাহ পরে জানানো হবে।

উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে জনমানুষের ধারণা দারিদ্র এবং দুর্ভিক্ষ। কিন্তু পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলোর এই অগ্রগতি উৎসাব্যাঞ্জক। খোজ নিয়েছিলাম এর কারণ সম্পর্কে।

এই অগ্রগতির পেছনে তিনজন আকাবীরের পরিশ্রম ও ফিকির রয়েছে। তারা হলেন আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ, ও ফকিহুল মিল্লাত আল্লামা আবদুর রহমান রহ, এবং শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক রহ,। তাদের সিস্টেম অনুযায়ী মাদ্রাসার অবকাঠামো ও মেহমানখানা তৈরি হয়েছে।

শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক রহ, তার ছাত্রদেরকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দিতেন। উত্তরবঙ্গের কোন ছাত্র বছরের যেকোনো সময় ভর্তি হতে চাইলে তিনি ভর্তি করে নিতেন জামেয়া রাহমানিয়ায়।

আজকের আকাবিরবৃন্দ! ভাইরাল হওয়ার ধান্ধা বাদ দিয়ে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান তৈরির দিকে নজর দিন। আল্লাহ বিজয় দান করবেন। উত্তরবঙ্গের উলামায়ে কেরামের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা।
লেখক : কলামিস্ট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *