ধর্ম পরিচয়ে বিব্রত ভারতের তারকারাও
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: ফারহা খান বলিউড অভিনেতা দিয়া মির্জার টুইটে রিটুইট করে নিজেদের ধর্ম পরিচয়টা বড় নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি লিখেন, সবসম আমি ধর্মে জায়গাটা ফাঁকা রাখি।
দিয়া মির্জা টুইটে লিখেছিলেন, আমার মা হিন্দু ,আমার বায়োলজিক্যাল বাবা খ্রিষ্টান, কিন্তু আমার পালক পিতা একজন মুসলমান। আমার সমস্ত রকমের কাগজপত্রে ধর্মের জায়গায় আমি ফাঁকা রাখি, ধর্ম কি ঠিক করবে আমি ভারতীয় কিনা ? এরকম কখনো হয়নি আর আশা করি কখনও হবেও না। এক ভারত।
দিয়া মির্জার এই টুইটটিই রিটুইট করেছেন ফারাহ খান। যেখানে তিনি লিখেছেন, আমার বাবা মুসলিম, আমার মা পার্সি, আমার ভাই-বোনেরা হিন্দুদের বিয়ে করেছে। আমার বাচ্চাদের ভাই বোন মুসলিম, হিন্দু ,খ্রিস্টান। আমরা সব ধর্মের অনুষ্ঠান একসঙ্গে পালন করি। আমরা আসলে মানবতার ধর্ম পালন করি। যেকোনো ফরমেই আমি ভারতীয় লিখি। ধর্ম কখনই আমার পরিচয় নয়।
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধিতায় বিক্ষুব্ধ এখন গোটা দেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনকে ১৪৪ ধারাও জারি করতে হয়েছে। আন্দোলনে পিছিয়ে থাকছেন না তারকারাও।
বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে জুয়েলারি ডিজাইনার ফারহা খান এই বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। আসলে ফারহা খান বলিউড অভিনেতা দিয়া মির্জার টুইটে রিটুইট করে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন।
সবশেষ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে গতকাল বিক্ষোভে উত্তাল দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, লখনৌসহ অন্যান্য বেশকিছু শহর। লখনৌয়ে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক বিক্ষোভকারী, আহত হন ২০ জনের বেশি।
এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।