পাথেয় রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রশাসনের একজন কর্মকতা হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য দেওয়ায় সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহমেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
মারুফ আহমেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে শিগগিরই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের ইউনিফর্ম পরে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়ায় কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার দাবি করেছেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত এক অভিযোগে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার দাবি করেন এই প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মহাজোট মনোনীত ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী তার নিজ দলের প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। যা নির্বাচনের আচরণবিধির ৭/২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আচরণবিধির লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মহাজোট মনোনীত ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী তার নিজ দলের প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। যা নির্বাচনের আচরণবিধির ৭/২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আচরণবিধির লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত এক অভিযোগে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার দাবি করেন এই প্রার্থী।
ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান কলারোয়া থানার ওসি।
ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষদগার করেন বলে অভিযোগ করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
সরকারি কর্মকতা হিসেবে একজন ওসির এহেন কর্মকাণ্ড গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।