পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে ‘পরিস্থিতি বুঝে’ সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই নতুন বছর ২০২২ সালেও পাবলিক পরীক্ষা আমরা নিতে চাই। সময় মতো হবে না -এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা সেভাবে ক্লাস করতে পারেনি।’
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশেও ২১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে দেশে কোভিড রোগী দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ক্লাস চালু থাকলেও পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকব এবং ক্লাস করাতে থাকব। যখন নেওয়ার মত পরিস্থিতি হবে, তখন আমরা পরীক্ষাটা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি পরীক্ষা নেওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে বলতে পারব, কোন তারিখে পরীক্ষা হচ্ছে। সদিচ্ছা যতই থাকুক, এটাতো আমাদের হাতে নেই।’
এ মাসেই টিকা পাচ্ছে দেশের ১ কোটি ১৬ লাখ শিক্ষার্থী
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে মোট শিক্ষার্থীর ৪৪ লাখকে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই (১২ বা ততোর্ধ্ব বয়সী) সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। টিকা নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে না। তারা বাসায় অনলাইনে ও টিভিতে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। যাদের টিকা নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে, তারাই কেবল ক্লাসে আসবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবুবকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪ ও যুগান্তর