পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানে আবারও বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম। রোববার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার তেলের নতুন মূল্যতালিকা ঘোষণা করেছেন। সেখানে এবার পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে একলাফে ৩৫ রুপি। বেড়েছে ডিজেল-কেরোসিনের দামও।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, স্থানীয় সময় রোববার বেলা ১১টা থেকেই কার্যকর হয়েছে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য। এর ১০ মিনিট আগে টেলিভিশনে এক ভাষণে নতুন মূল্যতালিকা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
এখন থেকে পাকিস্তানে এক লিটার পেট্রলের দাম ২৪৯ দশমিক ৮০ রুপি, হাই-স্পিড ডিজেলের দাম ২৬২ দশমিক ৮০ রুপি, কেরোসিন ১৮৯ দশমিক ৮৩ রুপি এবং লাইট ডিজেল লিটারপ্রতি ১৮৭ রুপি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে পাকিস্তানে পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ১০৫ দশমিক ৭১ টাকা, ডিজেল ১১১ দশমিক ২১ টাকা, কেরোসিন ৮০ দশমিক ৩৩ টাকা এবং লাইট ডিজেলের দাম ৭৯ দশমিক ১৩ টাকা প্রায়।
ভাষণে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশটিতে পেট্রল-ডিজেলের দাম ৫০ রুপি বাড়ানোর বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো খবরগুলো ভুয়া। এর কারণে বাজারে জ্বালানি তেলের কৃত্রিম ঘাটতির খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাকিস্তানি রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে… আর এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম ১১ শতাংশ বাড়তে দেখছি।
মন্ত্রী দাবি করেন, গত চার মাসে পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়েনি বরং কমানো হয়েছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রুপির অবমূল্যায়ন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশে আমরা এই চারটি পণ্যের সর্বনিম্ন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইসহাক দার বলেন, আমরা পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৩৫ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেরোসিন ও লাইট ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ রুপি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন মূল্যের কারণে পাকিস্তানে পেট্রল সরবরাহ ফুরিয়ে আসার গুজব শেষ হবে।
এদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার কথায়, ‘আমদানি করা সরকার’-এর চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ‘জনসাধারণ ও বেতনভোগী শ্রেণিকে পিষ্ট করছে’।
টুইটারে তিনি বলেন, ২০ হাজার কোটি রুপির মিনি বাজেটে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং ৩৫ শতাংশ অভূতপূর্ব মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল এ মাসের শেষ দিকে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে। ওই সফরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা তহবিল ছাড়ের বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। আইএমএফ প্রতিনিধিদের এ সফরের ঠিক আগেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলো পাকিস্তান সরকার।