পানশালায় গুলি, নিহত ১২

পানশালায় গুলি, নিহত ১২

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি পানশালায় হামলা করেছেন এক বন্দুকধারী সন্ত্রাসী। সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন পানশালায় থাকা ১১ জন। অবশ্য গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হন। ক্যালিফোর্নিয়া স্থানীয় পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

০৭ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ওই পানশালায় গুলি চালানো হয়। পুলিশ বলছে, এ হামলায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ওই পানশালায় একটি কলেজের অনুষ্ঠান চলছিল। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৩০টি গুলি ছোড়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে একজন ব্যক্তি ওই পানশালায় ছুটে যান এবং গুলি চালান। সেই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সে অনেক গুলি ছুড়েছে কমপক্ষে ৩০টি। এমনকি সবাই হুড়োহুড়ি করে বের হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে গুলির শব্দ শোনা গেছে।’

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার থাউজেন্ড ওকস এলাকার বর্ডার লাইন বার অ্যান্ড গ্রিলে গুলি চালায় বন্দুকধারী। স্থানীয় শেরিফ জিওফ ডিন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও আছেন। আর আহত হয়েছেন ১২ জন।

এদিকে এ ঘটনায় বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসের ৪০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে থাউজেন্ড ওকসের অবস্থান। রাতে এক বন্দুকধারি এসে এখানে গুলি চালায়। রাতে যখন গোলাগুলি শুরু হয় তখন কমপক্ষে ২০০ মানুষ ওই পানশালার ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছেন। ভেঞ্চুরা কাউন্টির শেরিফ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। এ সময়ও গুলি চলছিল। পরে পুলিশের সঙ্গেও বন্দুকধারীর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীর গুলিতে একজন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।

ঘটনায় পুলিশ বলছে, এই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন, এদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ বলছে, প্রথম গুলি চলার পর পানশালায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী কয়েক ডজন গুলি ছুড়েছে। গোলাগুলির সময় পানশালায় থাকা অনেকেই শৌচাগারে আশ্রয় নেয়। পুলিশ সদস্যরা চেয়ার দিয়ে জানালা ভেঙে পানশালায় ঢোকেন।

থাউজেন্ড ওকস শহরের মেয়র অ্যান্ডি ফক্সের দাবি, তাঁর শহর যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় ঘটতে পারে। এমনকি সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানেও এমন ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।’ অ্যান্ডি ফক্স জানিয়েছেন, হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও আছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *