২৮শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ থেকে যেন প্রচুর ইলিশ ভারতে ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে ফারাক্কা বাঁধে নতুন ‘নেভিগেশনাল লক’ তৈরির কাজ করছে দেশটি।
এই লক তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেডের অধীনস্থ এল অ্যান্ড টি জিওস্ট্রাকচার দাবি করছে, ফারাক্কার নতুন ‘নেভিগেশনাল লক’ তৈরির কাজ শেষ হলে গঙ্গা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। বিশেষ করে ফারাক্কা থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ অবধি ইলিশের জোগান বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ গঙ্গার উজান বেয়ে চলে আসবে ভারতের দিকে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ফারাক্কা বাঁধের স্লুইসগেটটির জলস্তর যেখানে রয়েছে, এবার তার চেয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হবে জলস্তর। যার অর্থ স্লুইসগেট এত দিন যতটা খোলা থাকছিল, তার চেয়ে অনেকটা বেশি খোলা হবে এবং তা প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে।
এর ফলে পদ্মা নদীর নোনতা জল থেকে গঙ্গা নদীর মিষ্টি জলে সাঁতার কেটে আরও বেশি সংখ্যক ইলিশের চলে আসার সম্ভাবনা বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গায় বাড়বে ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার সম্ভাবনাও।
সংস্থা সূত্রের খবর, ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধের প্রথম নেভিগেশনাল লক তৈরির পর প্রয়াগরাজ পর্যন্ত ইলিশ মাছের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফারাক্কায় নতুন নেভিগেশনাল লক চলতি বছর জুন থেকে খুলে দেওয়ার কথা। এ কাজের দায়িত্ব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি ওই বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ফারাক্কা বাঁধের ফিডার খালের ওপর নেভিগেশনাল লকটি এখন তৈরি হচ্ছে। ফারাক্কার বর্তমান লক গেট ১৯৭৮ সাল থেকে চালু রয়েছে। নতুন নেভিগেশনাল লক তৈরির ক্ষেত্রে আধুনিক ইলেক্ট্রো হাইড্রোলিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এর সঙ্গে প্রতিটি লক গেটকে কন্ট্রোল রুম থেকে রিমোট কন্ট্রোল মারফত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
কলকাতা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে ফারাক্কা বাঁধের নেভিগেশনাল এই লক তৈরি হলে কলকাতা বন্দরও প্রভূত লাভ করবে বলে মনে করছেন এল অ্যান্ড টি জিওস্ট্রাকচারের চিফ এক্সিকিউটিভ এস কানাপ্পান। তিনি বলেন, আমরা খুশি যে এই নেভিগেশনাল লক তৈরির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দিয়েছে। এর ফলে গঙ্গার পরিবেশ এবং অভ্যন্তরীণ প্রাণীদের জীবনেরও পার্থক্য তৈরি হবে। সঙ্গে জাহাজ যাত্রার পথও হবে সুগম ও দ্রুত।
/এএ